এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > Big Breaking নির্বাচন কমিশনের অপসারণের দাবিতে চিঠি তৃণমূলের, শোরগোল রাজ্যে!

Big Breaking নির্বাচন কমিশনের অপসারণের দাবিতে চিঠি তৃণমূলের, শোরগোল রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত বেধে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের। সূত্রের খবর, ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার তথা রাজ্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সুদীপ জৈনের অপসারণের দাবিতে এবার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে চিঠি দিল পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল। জানা গেছে, এদিন এই ব্যাপারে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের অপসারণ চেয়ে তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন একটি চিঠি দিয়েছেন।

যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত আলোরন পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কার্যত নজিরবিহীনভাবে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের অপসারণ চেয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে উদ্যোগ রীতিমত নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেন তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হল? সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে একটি যোগদান অনুষ্ঠানের পর এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।

তিনি বলেন, “8 দফা নির্বাচনে প্রতিবাদ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে আমাদের প্রতিবাদ চলছে। আমাদের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের অপসারণ দাবি করেছে। এই সুদীপ 2019 এও দায়িত্বে ছিল। ওর পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ আমরা দেখেছি। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গা নিয়ে ভুল রিপোর্ট পাঠিয়েছিল। যার জেরে নির্বাচনের দুদিন আগে প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। অথচ বিজেপির প্রচার চালিয়ে যেতে পেরেছে। কমিশন সেই মূর্তি ভাঙ্গা নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অমিত শাহ এর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ করেনি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ সরাসরি এই ব্যাপারে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে কড়া পদক্ষেপ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এই ধরনের ঘটনা যে অত্যন্ত নজিরবিহীন, তা বলাই যায়। নির্বাচনের দামামা বাজতেই যেভাবে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের অপসারণ চেয়ে চিঠি দিল তৃণমূল নেতৃত্ব, তাতে ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে এবার সরাসরি সংঘাত বেধে গেল নির্বাচন কমিশনের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিনেই সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে তারা খুশি নন। অর্থাৎ 8 দফা ভোট নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের প্রতিক্রিয়া তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। আর তারপরেই একাংশ আশঙ্কা করেছিলেন, নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসবে, ততই এই কমিশনের সঙ্গে সংঘাত তৈরি হতে দেখা যাবে ঘাসফুল শিবিরের। আর এই পরিস্থিতিতে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের অপসারণ চেয়ে সেই দ্বন্দ্ব আরও তীব্র করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!