প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলা পরায়ন দল হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের চার দফার ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পরেই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের জেলায় জেলায় বিক্ষোভ রীতিমত চরম আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যে এসে হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হয়েছে দলের সর্বভারতীয় চাণক্য তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে‌।

কিন্তু তারপরেও বিক্ষোভ থামেনি তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের কেন এইভাবে টিকিট দেওয়া হল, তা নিয়ে জেলায় জেলায় উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের মুখে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এবার প্রার্থী নিয়ে দলের একাংশের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মোতাবেক মঙ্গলবার রাতেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ সহ রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতারা। আর সেখানেই একের পর এক প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সংসার বড় হয়েছে। তবে সবাই প্রার্থী হতে চাইলে তো আর তা সম্ভব নয়।”

স্বভাবতই দলের সভাপতির এই ধরনের মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যখন জেলায় জেলায় বিক্ষোভ তৈরি হচ্ছে, তখন সেই বিক্ষোভকে সামাল দিতে সকলকে টিকিট দেওয়া সম্ভব নয় বলে দিলীপ ঘোষ যে মন্তব্য করলেন, তাতে কর্মী-সমর্থকদের বিদ্রোহ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলেই দাবি করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দিলীপ ঘোষ এই মন্তব্য করে বিদ্রোহকে থামানোর চেষ্টা করলেন। কেননা তৃণমূলকে আটকাতে গিয়ে যদি নিজেদের দলের বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করে, তাহলে তা বিজেপির কাছে যথেষ্ট চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কেননা তৃণমূল থেকে অনেকেই টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন।

তারপরেই বিজেপির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে তৃণমূলকে আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু এবার তাদের দলের প্রার্থী ঘোষণার পরে যখন বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করেছে, তখন দিলীপ ঘোষ এই মন্তব্য করে বুঝিয়ে দিলেন, সবাইকে প্রার্থী করা সম্ভব নয়। স্বভাবতই রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যে বিদ্রোহ কতটা থামে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।