এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > Big Breaking ‘পছন্দ না হলে ভোট দেবেন না’ প্রকাশ্য মঞ্চে মেজাজ হারালেন মমতা!

Big Breaking ‘পছন্দ না হলে ভোট দেবেন না’ প্রকাশ্য মঞ্চে মেজাজ হারালেন মমতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের নির্বাচন যে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে অতটা সহজ নয়, তা বুঝতে পারছেন তৃণমূল নেতা নেত্রীরা। মুখে আবার সরকার গঠন হবে বলে দাবি করলেও, তাদের যে সেই সাফল্যে পৌঁছাতে গেলে অনেকটাই পরিশ্রম করতে হবে, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন প্রত্যেকে। তাই এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখন ময়দানে নেমে গোটা অবস্থার সামাল দিতে হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা সফর শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সরকারি খামতি সামনে আসতে শুরু করেছে। যেখানে সাধারন মানুষের অনেক দাবি-দাওয়া মুখ্যমন্ত্রীর সামনে বিভিন্ন সভায় আসতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে মুখ্যমন্ত্রীর। আর এই বিষয় নিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রীতীমত মেজাজ হারালেন তৃণমূল নেত্রী।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে তপশিলি জাতি উপজাতিদের নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভাতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তৃণমূল নেত্রী। দর্শকাসন থেকে তার কাছে বেশ কিছু দাবি-দাওয়া আসতে শুরু করলে এই ব্যাপারে মুখ খুলতে দেখা যায় ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আর চার-পাঁচ দিন পরেই ভোটের দিন ঘোষণা হবে। এখন এত চাইলে হবে না। কয়েকটা বিজেপি আর কয়েকটা সিপিএমের লোকের কথা শুনে এরকম করে কোনো লাভ নেই। ভোটের আগে ব্ল্যাকমেল করবেন না। কি দেওয়া হয়নি বলুন তো! সব সুবিধা পাচ্ছে রাজ্যবাসী। এরপরেও ভোটের আগে যা ইচ্ছা কেন চাওয়া হচ্ছে! এতে যদি আমাকে পছন্দ না হয়, তাহলে আমায় ভোট দেবেন না। বাকিদের ভোটেই আমাদের সরকার তৈরি হয়ে যাবে।”

স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এবার রীতিমতো শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, এমনিতেই বিজেপি সহ নানা বিরোধী দলের চাপে কিছুটা হলেও কোণঠাসা রাজ্য সরকার। তাই এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগে প্রতিটি সভাতেই যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছেন, সেখানে দর্শকাসন থেকে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সামনে আসতে শুরু করেছে। যা খুব একটা স্বস্তি দিচ্ছে না বাংলার প্রশাসনিক প্রধানকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বিভিন্ন সভা সমিতিতে সাধারণ মানুষের নানা দাবি-দাওয়া সামনে আসায় বিরোধীরা তাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে প্রবলভাবে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে। তাই এবার দলের তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের নিয়ে সম্মেলনেও সেই একই ঘটনা ঘটায় রীতিমত বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল তৃণমূল নেত্রীকে। তবে অনেকে আবার বলতে শুরু করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের বক্তব্য সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আসলে তিনি বুঝতে পারছেন, এবারের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হবেন। তাই শোচনীয় পরাজয়ের আশঙ্কা করে নির্বাচনের আগে থেকেই তার কাছে কোনো দাবি যেতে শুরু করলে তিনি ক্ষিপ্ত হতে শুরু করেছেন।

একাংশের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সেক্ষেত্রে মানুষের কথা শোনার দায়িত্ব রয়েছে তাঁর। কিন্তু কোনো দাবি পৌঁছনোর সাথে সাথেই যদি তিনি এভাবে ক্ষিপ্ত হতে শুরু করেন, তাহলে ভোটবাক্সে যে তার আরও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

সব মিলিয়ে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের সম্মেলনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বেশ কিছু দাবি পৌছলে রীতিমত রনংদেহী হতে দেখা গেল তৃণমূল নেত্রীকে। তবে যেভাবে এই সম্মেলনে কিছু দাবি আসার সাথে সাথেই গোটা ঘটনাকে বিরোধীদের চক্রান্ত বলে দায়ী করলেন তৃণমূল নেত্রী, তাতে বিতর্ক আরও ব্যাপকভাবে বাড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের মন্তব্য আগামীদিনে বিরোধীদের বড় হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!