প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ বোলপুরের গীতাঞ্জলি অডিটরিয়ামে এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করে সেখান থেকে বেশকিছু বিস্ফোরক নথি গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন, বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে ও রাজ্যের ডিএম,এসপিদের যে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ রয়েছে, তারই প্রিন্ট আউট হলো এই নথিগুলি।

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, এই প্রিন্ট আউট গুলিতে তৃণমূল কর্মীদেরকে বলা হয়েছে ট্রাবল মঙ্গার। অর্থাৎ অশান্তি বা গন্ডগোল বাধিয়ে থাকে যারা। টিএমসি গুনস পর্যন্ত বলা হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভোটের আগের রাতে তৃণমূল কর্মীদের তুলে নেয়া হচ্ছে, যাতে তারা এলাকায় তৃণমূলের ভোট না করাতে পারেন।

তিনি অভিযোগ করেছেন, বেআইনিভাবে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আটকে রাখা হচ্ছে ভোটের আগের দিন। পর্যবেক্ষকদের মদতে এই সমস্ত কাজ হচ্ছে। এই সমস্ত কিছুর পরিকল্পনা করা হয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট গুলিতে। এবার এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি জানালেন, নির্বাচন কমিশন ফোন করে নির্দেশ দিচ্ছে, তৃণমূলের নেতাদের নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার করে নিতে। তাঁর কাছে সমস্ত রকম হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট আছে। নির্বাচন মিটলেই সুপ্রিম কোর্টে যাবেন তিনি। ২০১৬ সালেও তিনি অনেক সহ্য করেছেন। আগামী দিনে কিভাবে স্বচ্ছ নির্বাচন করা যায়? তা তাঁরা দেখে নেবেন।

তিনি প্রশ্ন করেছেন, তৃণমূলের লোকজনকে কেন আগে থাকতে আটকে দেয়া হচ্ছে? বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য কি? তিনি জানান, মঙ্গলকোট, বুদবুদ, উত্তর দমদমের নেতাদের ভোরবেলা থেকে বিকেল পর্যন্ত আটকে রেখে দেয়া হয়েছিল। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, এত কিছু করেও বিজেপি ৭০ টি আসনও পার করতে পারবে না।