রোজভ্যালি-কর্তার বাজেয়াপ্ত হওয়া ল্যাপটপ-মোবাইল হঠাৎ করেই ‘ভ্যানিশ’! ভোটের মুখে জল্পনা শুরু কলকাতা জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য January 28, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন বিরোধীদের তরফ থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করার অভিযোগ তোলা হত। এমনকি প্রতিহিংসাপরায়ন ভাবে নির্বাচনের আগে বেছে বেছে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলোতে কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে হেনস্থা করার উদ্যোগ নেয় বিজেপি বলেও অভিযোগ করতে বিরোধীরা। তবে এবার রোজভ্যালি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাপের মুখে পড়তে হল আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। জানা গেছে, রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুন্ডুর ল্যাপটপ এবং মোবাইল বাজেয়াপ্ত হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে সেগুলো আর কিছুই নেই। স্বাভাবিক ভাবেই তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে এবার তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2013 সালে এই রোজভ্যালি কাণ্ডে দুর্নীতির জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু করা হয়। তারপর রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুন্ডুকে গ্রেপ্তার করা হলে তার ল্যাপটপ, মোবাইল সহ সমস্ত নথি বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু 2014 সালের মে মাসের রোজভ্যালি কাণ্ডে তদন্তপ্রক্রিয়া নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় সিবিআই। আর এখন যখন সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে সেই তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করবার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, তখন ইডির কাছে সেই রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুন্ডুর ল্যাপটপ সহ বিভিন্ন নথিপত্র যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তা চাওয়া হলেও, ইডির কাছে এই ব্যাপারে কোনো নথির হদিশ নেই বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। যার জেরে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মধ্যে এই বিষয় নিয়ে বিবাদ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন একাংশ।অনেকে বলতে শুরু করেছেন, এতদিন বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে নানা অভিযোগ করা হত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে নানা তদন্ত করানোর জন্য বিজেপি সরকারকে বারবার চাপে ফেলতে দেখা যেত বিরোধীদের। কিন্তু এবার যেভাবে নথি হারানো নিয়ে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সম্মুখ সমরে নেমে গেল, তাতে বিরোধীরা তাদের হাতে নতুন অস্ত্র পেয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনা তৃণমূলকে যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়ে প্রশ্ন করার আরও বেশি করে সুযোগ করে দিল, সেই বিষয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -