প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এবার একটি বড়সড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর এবার থেকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সঙ্গে থাকা বাধ্যতামূলক করা হলো। এখন থেকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সঙ্গে থাকতেই হবে। আজ আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই বৈঠক থেকেই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন থেকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সঙ্গে থাকা বাধ্যতামূলক। তবে কারো কাছে যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকে, সে ক্ষেত্রে তিনি যদি আধার কার্ড সঙ্গে রাখেন, তবে হাসপাতাল থেকেই তার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বানিয়ে দেয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অনেক নার্সিংহোম আছে, যারা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে অবহেলা করছে, স্বাস্থ্যসাথীকে মান্যতা দেয় নি। কিন্তু সরকারি প্রকল্পকে মান্যতা দিতেই হবে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যদি না নেয়, তাহলে সেই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া হতে পারে।

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল স্বাস্থ্য সাথী। এই প্রকল্পের দ্বারা পরিবার পিছু বছরে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসার সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড গ্রহণে অনিচ্ছুক হাসপাতাল কতৃপক্ষ। বহু বেসরকারি হাসপাতালে এই ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। এই নিয়ে একাধিকবার অভিযোগও উঠেছে। এরপর আজ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার থেকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হলো স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই কঠোর নির্দেশ প্রসঙ্গে বিজেপির চিকিত্সক-নেতা ইন্দ্রনীল খান জানালেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করার পরেও পরিষেবা কেন বীমা কোম্পানির হাতে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে? প্রশ্ন করেছেন তিনি। তিনি প্রশ্ন করেছেন, হাসপাতালে টিকিট করাতে গেলে অনেকটা সময় চলে যায়, এই সময়ে কোন অসুস্থ ব্যক্তি কি আগে লাইনে দাঁড়াবেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করতে? রাজ্য সরকারের এমন নির্দেশিকা হাস্যকর বলেই, কটাক্ষ করেছেন তিনি।