প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির বিরুদ্ধে বারবার বাংলাবিদ্বেষী অভিযোগ তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি ভারতীয় জনতা পার্টি জানে না বলেও বিভিন্ন মঞ্চ থেকে সরব হতে দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যপাল যোগ দিলেও, কেন সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপস্থিত! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

তবে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালে তিনি যোগ না দিলেও, ট্যুইটে এই ব্যাপারে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। তবে কেন তিনি বিশ্বভারতীর এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন না, এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যেখানে স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, তাকে এই অনুষ্ঠানের জন্য কোনো আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন বিজেপি টুইটার সেলের প্রধান অমিত মালব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। আর তারপরই সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের তরফে তার তীব্র প্রতিবাদ করেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু এবার অবশেষে সেই ব্যাপারে মুখ খুলতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

সূত্রের খবর, এদিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “না আমন্ত্রণ, না নিমন্ত্রণ, না কোনো ফোন। আমি কিচ্ছু পাইনি। এতদিন যারা বিশ্বভারতীতে কাজ করেছেন, তাদের সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছি টুইটের মাধ্যমে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে কত শিক্ষক তৈরি হয়েছে, কত ছাত্র বেরিয়েছে, তাদের সকলকে অভিনন্দন।”

স্বাভাবিকভাবেই এই গোটা বিষয় নিয়ে জল্পনা তৈরি হলেও, এবার সেই ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করে তাকে যে কোনো আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তা বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কেন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন! তাহলে কি বিজেপির পক্ষ থেকে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তা শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খাটো করার জন্য!

নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে! এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তবে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়ে দিলেন, তাতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও এখন তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। যেখানে রাজ্যপাল থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সেখানে কেন মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী তাকে আমন্ত্রণ জানানো হল না! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।