Big Breaking ভবনে পা রাখলেন মুকুল, মমতার পাশে বসেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঘোষণা! কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য June 11, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2017 সালে দুর্গাপুজোর পঞ্চমীর দিন হঠাৎ করেই তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সঙ্গী মুকুল রায়। কার্যত সেদিন থেকেই তৃনমূল কংগ্রেস ভাঙতে শুরু করেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর যিনি সব থেকে বেশি তৃণমূলের কর্মী থেকে শুরু করে নেতা সমর্থকদের চিনতেন, তিনি হলেন মুকুল রায়। ফলে সেই মুকুলবাবু বিজেপিতে যোগদান করায় রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছিল শাসকদল। পরবর্তীতে মুকুল রায়ের অভাব অনুভব করতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে এই মুকুল রায়ের জন্য ভূতপূর্ব ফলাফল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে কিছুদিন ধরেই সেই মুকুল রায়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল গেরুয়া শিবিরের। অবশেষে আজ সকাল থেকেই জল্পনা তৈরি হতে শুরু করে, দ্রুত বৈঠক করে এবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন মুকুলবাবু। তবে বেলা যত বাড়তে শুরু করে, ততই গুঞ্জন তীব্র হতে শুরু করে। অবশেষে সল্টলেকের বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় নিজের অবস্থানের কথা জানিয়ে দিলেন মুকুল রায়। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, এবার তার গন্তব্য তৃণমূল ভবন। স্বভাবতই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক তৃণমূল ভবনে চলে যাওয়ায় তার ঘাসফুল শিবিরে যোগ যে শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা, তা বলাই যায়। বস্তুত, আজ সকাল থেকেই খবরের শিরোনামে উঠে আসার মুকুল রায় বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল। হঠাৎ করেই আজ নিজের অনুগামীদের নিয়ে সকাল থেকে বৈঠক শুরু করে দেন মুকুলবাবু। পরবর্তীতে তিনি যে দলবদল করতে চলেছেন, সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়। অবশেষে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় তৃণমূল ভবনে যাচ্ছেন বলে জানিয়ে দেন মুকুল রায়। এদিকে মুকুল রায় তৃণমূল ভবনে আসার আগেই কালীঘাটের বাড়ি থেকে দলের রাজ্য দপ্তরে এসে উপস্থিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে 2017 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুকুল রায়ের যে আড়াআড়ি দ্বিধা-বিভক্ত ছবি সামনে উঠে এসেছিল, এবার তা আবার জোড়া লাগতে চলেছে। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, তৃণমূল ভবনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই মুকুল রায়কে স্বাগত জানানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই অর্থাৎ বিকেল সাড়ে তিনটের সময় সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুকুল রায়ের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিতে পারেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তিন বছর পর আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুকুল রায়ের জুটি সংবাদমাধ্যমের সামনাসামনি হচ্ছে। তৃণমূলের সঙ্গে যারা দীর্ঘদিন ধরে জড়িত, তারা জানেন, তৃণমূল ভবন এবং মুকুল রায় কার্যত সমার্থক শব্দ। একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন এই মুকুল রায়। উত্তরবঙ্গের বন্যা থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের কোন জেলার কোন বুথের কি অবস্থা, তৃণমূল ভবনে আসা কর্মী, সমর্থকদের কাছ থেকে তার খোঁজখবর নিতে দেখা যেত তাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরে তিনি যে তৃণমূলে শেষ কথা বলেন, তা সকলের কাছেই স্পষ্ট হয়ে যায়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সব সময় পাওয়া না গেলেও, মুকুল রায়কে ভবনে পেয়ে নিজেদের আবেদন থেকে শুরু করে ক্ষোভ, সবকিছু ব্যক্ত করতেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তবে সেই মুকুল রায় 2017 সালে দুর্গাপঞ্চমীর দিন তৃণমূল ত্যাগ করার ঘটনায় তার ঘনিষ্ঠ অনুগামীরা রীতিমত হতাশ হয়ে পড়েন। এদিকে বিজেপিতে যোগদানের পর মুকুল রায় জানিয়ে দেন তার প্রধান লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করা। কিন্তু 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে সেই কাজ করতে পারেননি তিনি। বিজেপির পক্ষ থেকে তাকে ঠিকমত দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ক্রমাগত দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল তার। আর এই পরিস্থিতিতে যে তৃণমূল ভবন থেকে একসময় দল পরিচালনা করতেন মুকুল রায়। মাঝে কয়েক বছরের জন্য মুরলীধর লেন তার ঠিকানা হলেও এবার আবার সেই তৃণমূল ভবন পাকাপোক্ত ঠিকানা হতে চলেছে মুকুলবাবুর। অর্থাৎ 2017 সাল থেকে তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা মুকুল রায়কে নিয়ে যে অভাব অনুভব করতে শুরু করেছিলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আবার শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলের ফিরে আসায় খুশি দলের নেতা-কর্মীরা। তবে শেষপর্যন্ত তৃণমূল ভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর মুকুল রায়কে নিয়ে কি ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যিই আবার তৃণমূলে অভিষেক হয় কি না রায়সাহেবের, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -