এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > big breking বিচারের দাবিতে মমতাকে চিঠি শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দুর!

big breking বিচারের দাবিতে মমতাকে চিঠি শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দুর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সংঘাত কি আরও তীব্র হতে শুরু করল? তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে শুভেন্দু অধিকারী যোগদান করলেও, তার পরিবারের তিন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। কি করবেন শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী কিংবা সৌমেন্দু অধিকারী, তা নিয়ে আলোচনার শেষ ছিল না। আরে এরই মাঝে কাঁথি পৌরসভার প্রশাসক পদ থেকে সৌমেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যা নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। আর এবার এই বিষয়ে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন তিনি।

জানা গেছে, চিঠিতে তৃণমূল সাংসদ লিখেছেন, “এক তৃণমূল নেতার মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে অবিচার এবং অনৈতিক সিদ্ধান্তের শিকার হতে হচ্ছে সৌমেন্দুকে। অবিলম্বে তাকে দায়িত্বে ফেরাতে হবে। পুরনো প্রশাসক বোর্ডের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে হবে।” আর তাদের এই দাবি যদি না মানা হয়, তাহলে তিনি এবং তাঁর পিতা শিশির অধিকারী আর পৌরসভার অফিসে যাবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন দিব্যেন্দুবাবু। স্বাভাবিকভাবেই এবার সরাসরি সৌমেন্দু অধিকারীকে প্রশাসক পদ থেকে সরানোর পর নেত্রীকে চিঠি দিয়ে যেভাবে বিস্ফোরক হলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী, তাতে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু তৃণমূল নেতা বলতে কার দিকে অভিযোগ করেছেন দিব্যেন্দু অধিকারী! এখন তা নিয়ে আলোচনা ক্রমশ জোরালো হতে শুরু করেছে। অনেকে বলেছেন, রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির সঙ্গে অধিকারী পরিবারের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। কিছুদিন আগেই এই অখিল গিরি সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পৌরসভায় বসে বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছিলেন। আর তারপরই খুব দ্রুত সৌমেন্দু অধিকারীকে তার পদ থেকে সরানো হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

আর তার সাথে সাথেই মঙ্গলবার কাঁথি পৌরসভার প্রশাসক পদ থেকে অধিকারী পরিবারের অন্যতম সদস্য সৌমেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেন দিব্যেন্দু অধিকারী। আর এই ঘটনা যে তিনি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না, তা প্রকাশ্যেই জানিয়ে দেন এই তৃণমূল সাংসদ। যার জেরে এবার সরাসরি নেত্রীকে চিঠি দিয়ে এই ঘটনার জন্য এক তৃণমূল নেতাকে দায়ী করলেন দিব্যেন্দুবাবু।

আর এখানেই অনেকের প্রশ্ন, যদি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব সৌমেন্দুবাবুকে তার পদে ফিরিয়ে না নেন, তাহলে কি করবেন অধিকারী পরিবারের অন্যতম সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারি বা তার পিতা শিশির অধিকারী! ইতিমধ্যেই দিব্যেন্দুবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, যদি এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকেন, তাহলে তিনি এবং তাঁর পিতা কাঁথি পৌরসভায় যাবেন না। একাংশের দাবি, এই ঘটনা প্রবাহ থেকেই পরিষ্কার, এবার ধীরে ধীরে অধিকারী পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও দূরত্ব বাড়তে শুরু করল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। এখনও পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী এবং তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।

কিন্তু নেত্রীর প্রতি নিজের আনুগত্য দিব্যেন্দুবাবু প্রকাশ করলেও, যেভাবে নিজের ভাইকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তাতে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে তৃণমূলের অন্দরমহলে। যদি শাসক দলের সুপ্রিমোকে চিঠি দেওয়ার পরেও গোটা পরিস্থিতি একই থাকে, তাহলে কি করবেন দিব্যেন্দুবাবু এবং তার পিতা শিশিরবাবু! এখন তা নিয়ে জোরালো জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!