প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার করোনার কোপে পড়তে চলেছেন পুস্তক প্রেমীরা। করোনা সংক্রমনের কারণে চলতি বছর একাধিক ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব, অনুষ্ঠানে লাগাম টানা হয়েছিল। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজার আয়োজন অনেকটাই সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল। করোনা সংক্রমণের কারণে আগামী বছর কল্পতরু উৎসব বন্ধ রাখা হচ্ছে। এবার, করোনা সংক্রমণের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। জানুয়ারি মাসে আসর বসছে না এই বইমেলার। কবে হবে বইমেলা? তা স্পষ্ট ভাবে জানানো হলো না।

প্রসঙ্গত আগামী জানুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ থেকে শুরু করে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার সংক্রমণ, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব সমস্ত কিছুর কথা চিন্তা করে বই মেলার আয়োজন অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে দিলো গিল্ড। আজ গিল্ড কর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, পৃথিবীর বেশ কিছু স্থানে করোনা সংক্রমনের কারণে আবার নতুন করে লকডাউন জারি করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা চিন্তা করেই পিছিয়ে দেয়া হলো আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা।

গিল্ড কর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে আরও জানালেন যে, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে আছে। একারণে বিদেশ থেকে পুস্তক ব্যবসায়ীরা বইমেলায় স্টল দিতে পারবেন না। এই বই মেলায় বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশকের এসে থাকেন। যা কলকাতা বইমেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। তাই সমস্ত কিছুর কথা চিন্তা করেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য বইমেলা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হল গিল্ডের পক্ষ থেকে।

গিল্ডের এই সিদ্ধান্ত যথার্থই হতাশ করেছে পুস্তক প্রেমীদের। কলকাতার বইমেলার জন্য সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকেন মহানগরের বেশকিছু পুস্তক প্রেমী ও সাংকৃতিজ্ঞ মানুষ। মহানগর ও মহানগরের আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে উপস্থিত হন কলকাতার বইমেলায় অসংখ মানুষ। তবে, গিল্ড কর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, বইমেলার জন্য প্রস্তুত আছে গিল্ড। স্কুল, কলেজ চালু হলে, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু হলে আবার তাঁরা বইমেলার আয়োজন করার বিষয়ে আগ্রহী।