এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > Big Breking মমতাকে চিঠি সিপিএমের! বাড়ছে জল্পনা!

Big Breking মমতাকে চিঠি সিপিএমের! বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে দলবদল বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এখন ক্ষেত্রটা কিছুটা আলাদা। 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার রাজ্য ক্ষমতায় আসার পর বিরোধী দল বামেদের একের পর এক জনপ্রতিনিধি নিয়ে তারা নিজেদের দলে যোগদান করাতে শুরু করেছিল। আর তখন তৃণমূলের এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল বামফ্রন্ট। কিন্তু তৃণমূল সেই বিষয়টি কখনই মান্যতা দেয়নি। তবে এবার তৃণমূলের ঘর ভাঙতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। একের পর এক বিধায়ক যোগদান করতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরে।

আর এই পরিস্থিতিতে চাপে পড়ে সেই সমস্ত বিধায়কদের অবস্থান জানতে উদ্যত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের এক সাংসদ সুনীল মণ্ডল বিজেপিতে যোগদান করার সাথে সাথেই তার বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছে শাসকদল। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বাম পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়া হল যেখানে অতীতে বিরোধীদের যে সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূল নিজেদের দিকে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সেই ব্যাপারে সেই চিঠিতে করা হয়েছে প্রশ্ন। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বামেদের পক্ষ থেকে চিঠিতে গাজোলের বিধায়ক দিপালী বিশ্বাসের কথা তুলে ধরা হয়েছে। জানা যায়, এই দিপালী বিশ্বাস প্রথমে বামেদের পক্ষ থেকে জয়লাভ করলেও পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। আর তখন বামেদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এমনকি দিপালীদেবীর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কেন কার্যকর করা হবে না, তা নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত প্রশ্ন তোলা হলেও, শাসক দল তাতে পাত্তা দিতে রাজি ছিল না।

কিন্তু এবার সেই দিপালী বিশ্বাস ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লিখিয়েছেন। আর এখন তৃনমূলের পক্ষ থেকে কেন চাপে পড়ে এভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিল সিপিএম‌। অনেকে বলছেন, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। একসময় বিরোধী দলের ঘর ভাঙতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস‌। তখন বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হলেও তাতে গুরুত্ব দিতে রাজি ছিল না শাসকদল। কিন্তু এবার সেই তৃণমূল কংগ্রেস যখন ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে, তখন দলবদলুদের কার্যত শায়েস্তা করতে তারা নিতে শুরু করেছে পদক্ষেপ। আর এই পরিস্থিতিতে পাল্টা ময়দানে নেমে এই ব্যাপারে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিতে শুরু করল বাম পরিষদীয় দল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, গাজোলের দিপালী বিশ্বাসের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য আবেদন করার পর প্রায় সাড়ে চার বছর সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। কিন্তু এবার তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পর তার বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা নিয়ে বামেদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। চিঠিতে বামেদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যে রীতিমতো বাড়তে শুরু করেছে দলবদল।

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যারা গিয়েছে তাদের কোনো চিঠি দেওয়া না হলেও সাংসদের ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে। তাই কেন এই দ্বিচারিতা শুরু হয়েছে, তা নিয়ে চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছে বামেরা। সত্যিই তো তাই! কেন এক এক সময় এক এক রকম সিদ্ধান্ত! এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,”দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দিষ্ট আইন আছে। নিশ্চয়ই সেই আইনে ব্যবস্থা হবে।” তবে যেভাবে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট অতীতের কথা তুলে ধরে এবার শাসক শিবিরকে চেপে ধরেছে, তাতে অস্বস্তি বাড়বে ঘাসফুল শিবিরের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!