এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > ধানচাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে বিশেষ উদ্যোগ কৃষি দপ্তরের

ধানচাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে বিশেষ উদ্যোগ কৃষি দপ্তরের


পুরুলিয়া জেলার নেতুড়িয়া ব্লকের দীঘা গ্রাম পঞ্চায়েতের দশটি মৌজার ১০০ হেক্টর এলাকাজুড়ে হাইব্রিড ধানের প্রদর্শনী ক্ষেত্র গড়ে তুলেছে নেতুড়িয়া ব্লক কৃষি দপ্তর। দপ্তরের আধিকারিক ডঃ পরিমল বর্মন বলেন, ধান চাষের এলাকা ও উৎপাদন একটা স্থিতিশীল অবস্থায় এসে গেছে। এলাকার কৃষক বন্ধুরা স্বর্ণ ও ললাট ধান চাষ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে, বিঘাতে ৩৫০-৪০০ কেজী ফলন পাচ্ছেন। সেখানে হাইব্রিড ধানের ফলন বিঘা প্রতি ৭০০-৮০০ কেজি হবে। আজ দীঘা গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলতোড় গ্রামে ১৫০ জন কৃষক বন্ধুদের নিয়ে একটি কৃষক প্রশিক্ষন শিবিরের আয়োজন করে নেতুড়িয়া ব্লক কৃষি দপ্তর। উপস্থিত ছিলেন দীঘা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লীলা মাজী।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই প্রসঙ্গে নেতুড়িয়া ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা ডঃ.পরিমল বর্মন বলেন হাইব্রিড ধান চাষের পদ্ধতি একটু আলাদা রকমের। জাতটির নাম “অ্যারাইজ-৬১২৯”, ১১০-১১৫ দিনের ফসল। এক কেজি বীজের দাম ২৯০ টাকা। কার্বেন্ডাজিম (ব্যাভিস্টিন) দিয়ে বীজশোধন করে বীজতলাতে বীজবোনার কাজ করতে হবে। বীজতলাতে বেশী মাত্রায় জৈবসার প্রয়োগ করতে হবে। বিঘা প্রতি বীজের প্রয়োজন মাত্র ২ কেজী। ১০০ হেক্টর এলাকার জন্য প্রয়োজনীয় ১.৫ টন বীজ বিনামুল্যে ৩২৫ জন চাষীদের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে। মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে সুষম সার প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে চাষীদের। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। পরবর্তী পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকার রোগ-পোকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পরিচর্যাগত ও জৈব উপায়ে কীভাবে করা যাবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন কৃষি আধিকারিক। বিধান মাজী, নীলেশ্বর মন্ডল, স্বপন মন্ডলের মত চাষীরা বলেন এবছর প্রথম আমরা হাইব্রিড ধানের চাষ করবো। হাইব্রিড ধান চাষ করে যদি তা ৭০০ কেজি ফলন পাই তাহলে করবোনা কেন?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!