তিন মন্ত্রীর পদত্যাগের আজ রাজ্য মন্ত্রীসভায় বড়সড় রদবদল, কার গুরুত্ত্ব বাড়ল? কার কমল? বিশেষ খবর রাজ্য June 6, 2018 পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে রাজ্যের শাসকদলে যে বড়সড় রদবদল আসন্ন তা আশা করছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে যে সব জেলাতে বিজেপির উত্থান লক্ষ্যণীয়ভাবে হয়েছে সেখানকার নেতাদের যে ডানা ছাঁটা হবে তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। আর প্রত্যাশা মতোই আলিপুরদুয়ার ও জঙ্গলমহলে ফল খারাপ হওয়ায় জেমস কুজুর ও চূড়ামণি মাহাতোকে গতকালই পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়, একই নির্দেশ যায় দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় দপ্তরহীন মন্ত্রী অবনীমোহন জোয়ারদারের কাছেও। গতকাল তিন মন্ত্রী পদত্যাগ করতেই আজ রাজ্য মন্ত্রীসভায় রদবদল সম্পন্ন করে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মুহূর্তে রাজ্য-রাজনীতিতে সবথেকে বেশি আলোচ্য নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে পরিবেশ দপ্তর কেড়ে তা দেয় হয়েছে পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অবধিকারীকে। গুরুত্ত্ব বাড়ল আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকেরও, আইন-বিচার-শ্রমের পাশাপাশি এ বার তিনি দেখবেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরও, যা আগে সামলাতেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। দায়িত্ত্ব বাড়িয়ে সেচমন্ত্রী করা হয়েছে সৌমেন মহাপাত্রকে। অন্যদিকে পূর্বতন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্ত্ব খর্ব করে তাঁকে দেওয়া হয়েছে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তর। তবে এই রদবদলে সবথেকে উল্লেখযোগ্য আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর – জঙ্গলমহল ও আলিপুরদুয়ারে খারাপ ফল হতেই তা নিজের কাছে রেখে দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে এইসব জায়গায় বিজেপির উত্থানের পর পদত্যাগী দুই মন্ত্রী জেমস কুজুর ও চূড়ামণি মাহাতো তো বটেই, তাঁদের বিরোধী গোষ্ঠীর উপরেও যে আর আস্থা রাখতে পারছেন না তৃণমূল নেত্রী তা জলের মত পরিষ্কার বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -