এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনার জেরে পেনশনভোগী কর্মীদের জন্য বড়সড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের – জানুন বিস্তারিত

করোনার জেরে পেনশনভোগী কর্মীদের জন্য বড়সড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের – জানুন বিস্তারিত


করোনা ভাইরাস এই মুহূর্তে এক প্রবল আতঙ্কের নাম। বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস খুব কম সময়ের মধ্যে। ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে করোনা ভাইরাসকয়ে প্যানডেমিক বা মহামারীরূপে ঘোষণা করেছ। ভারতেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। বিভিন্ন প্রদেশে পেরিয়ে বাংলাতেও করোনা ভাইরাসের থাবা পড়েছে। ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে বাংলাসহ সারাদেশে চলছে লকডাউন।

এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আপাতত 21 দিন গৃহবন্দী দেশবাসী। বোঝাই যাচ্ছে, রাজ্যসহ দেশের প্রত্যেকেই এক আর্থিক ধাক্কার মুখোমুখি হতে চলেছে। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য চিন্তা করে নিতে চলেছে এক সুবিধাজনক পদক্ষেপ। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য দুই মাসের পেনশন আগাম দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে মনে করা হচ্ছে, রাজ্য সরকারের প্রায় লক্ষাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা উপকৃত হবেন।

লকডাউন চলাকালীন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান খোলার কথা সরকারি নির্দেশিকায় থাকলেও মিলছে না আবশ্যিক জিনিসপত্র। কারণ, বেশিরভাগ জিনিসপত্র করোনা আতংকে ভুগে জনগণ আগেই মজুদ করে রাখার ফলে দোকানের জিনিসে টান পড়েছে। বলা যায়, যার ফলে মাসের শেষে অনেকেরই হাত ফাঁকা। অনেকেই মূলত পেনশনের টাকার ওপর নির্ভর করে থাকেন, সেদিকে চিন্তা করে এবার মমতা সরকার অগ্রিম পেনশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন বলে জানা গেছে।

সূত্রের খবর, আগামী এপ্রিল এবং মে এই দু মাসের অগ্রিম পেনশন একসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে নবান্নের তরফে রাজ্য সরকারের সমস্ত দপ্তরে সরকারি নির্দেশাবলী গেছে এই মর্মে। রাজ্য সরকার এইমুহুর্তে পেনশন অধিভোক্তাদের জন্য 1164 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, নির্ধারিত সময়ের আগেই এ মাসে পেনশন নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়ে গেছে। লকডাউন এর ফলে সবথেকে বেশি মুশকিলে পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ লকডাউন এর ফলে ব্যবসা থেকে শুরু করে সমস্ত অফিস এই মুহূর্তে তালাবন্ধ। দেশের অর্থনীতিও এক ঝটকায় নিম্নমুখী। কিন্তু করোনা সংক্রমণ এড়াতে লকডাউন ছাড়া আর অন্য কোন উপায় ছিল না বলেই দাবি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের। তবে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের কথা ভেবে একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তারমধ্যে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের মাসে হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যে জানা গেছে। এছাড়াও বিনামূল্যে চালডাল দেওয়া হবে বলেও খবর।

অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারও দেশবাসীর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন, এবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের অগ্রিম বেতন দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এদিকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনার ফলে দেশের অর্থনীতিতে সবথেকে বেশি ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। করোনা সতর্কতায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে একযোগে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি। কিন্তু তা সত্ত্বেও করোনা সংক্রমণ প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। এই মুহূর্তে লড়াই আসলে ভাইরাস ভার্সেস মানুষ।

যদিও এই মারণ ভাইরাস আটকাতে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। যে কারণে করোনাকে ঠেকানোর লড়াইটা আরও মারাত্মক। এই অবস্থায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, সচেতনতা ও সতর্কতার দ্বারাই করোনাকে দূর করা সম্ভব। না হলে তিলে তিলে মরা ছাড়া আর কোন গতি নেই। আপাতত দেশের জনগণ ও দেশের সরকার একযোগে ভারতবর্ষকে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এবার দেখার এই অসম লড়াইতে জয় কি উন্নত মানবজাতির হয়, নাকি আদেখা ভাইরাসের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!