এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > আসন্ন নির্বাচনে পিকে-ফ্যাক্টর থাকলেও প্রার্থী বাছাই নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত তৃণমূলের

আসন্ন নির্বাচনে পিকে-ফ্যাক্টর থাকলেও প্রার্থী বাছাই নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত তৃণমূলের

লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছিল। আর উত্তরবঙ্গের ভারতীয় জনতা পার্টি আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসন দখল করার পরেই, সেখানে নতুন করে নিজেদের ভিত গড়তে উদ্যোগী হয় ঘাসফুল শিবির। আর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল পর্যদুস্ত হওয়ার পরেই দলের রননীতিকার হিসেবে প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নেন।

আর প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নিয়েই বিভিন্ন জায়গায় দিদিকে বলো কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তৃণমূলের ভাবমূর্তি ফেরানোর জন্য উদ্যোগী হন। ইতিমধ্যেই এর ফলে অনেকটাই সুফল পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার ফালাকাটায় তৃণমূল বিধায়ক অনিল অধিকারীর প্রয়ানের কারণে সেখানকার বিধানসভা উপনির্বাচনে কাকে প্রার্থী করা যাবে, তার জন্য প্রস্তুতি শুরু করল ঘাসফুল’ শিবির।

বস্তুত, ইতিমধ্যেই ফালাকাটায় অনিল অধিকারীর অবর্তমানে সেখানকার বিধানসভা উপনির্বাচনে কাকে প্রার্থী করলে ভালো ফল হবে, তার জন্য স্থানীয় স্তরে নানা সমীক্ষা চালিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের টিম। তবে শুধু প্রশান্ত কিশোরের টিমের উপর ভরসা রাখাই নয়, এবার নিজেদের মত করে এই ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে শুরু করল তৃণমূল নেতৃত্বরা।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ফালাকাটায় বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা। একাংশ বলেছেন, ফালাকাটায় এতদিন তৃণমূলের বিধায়ক হিসেবে অনিল অধিকারী স্বচ্ছ মুখ ছিলেন। তাই তার জায়গায় ভালো মুখকেই প্রার্থী করে এই বিধানসভা কেন্দ্র দখল করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু কে প্রার্থী হতে পারে এই কেন্দ্রে!

দলীয় সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতাদের অনেকেই ফালাকাটা বিধানসভায় প্রার্থী হিসেবে অনিল অধিকারীর ছেলে জয়ন্ত অধিকারীকে চাইছেন। ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের টিমও এই ব্যাপারে নানা জায়গায় খোঁজখবর শুরু করেছে। তাই সেদিক থেকে যদি তৃণমূল নেতাদের সুপারিশ এবং প্রশান্ত কিশোরের টিমের সমীক্ষায় পজিটিভ কিছু বেরিয়ে আসে, তাহলে অনিল অধিকারীর পুত্র এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারেন বলে নিশ্চিত অনেকেই।

এখন শেষ পর্যন্ত দলীয় নেতাদের সমীক্ষা এবং প্রশান্ত কিশোরের টিমের সমীক্ষায় ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে কার নামে শীলমোহর পরে! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবির পর দায়িত্ব পান টীম-পিকে। আর তারপরেই ৩ উপনির্বাচনে জয় ফিরে পায় তৃণমূল।

কিন্তু সেখানে প্রার্থী বাছাই থেকে প্রচারের অভিমুখ সবটাই কার্যত ছিল টীম-পিকের নিয়ন্ত্রণে। যা নিয়ে নাকি তৃণমূলের অন্দরেই চাপা ক্ষোভ ছিল। দলের অনেক হেভিওয়েট নেতাই প্রশান্ত কিশোরের টিমের এতটা আধিপত্য মানতে চান নি। তাঁদের মতে, লোকে এখনও তৃণমূলকে ভোট দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই। সেখানে টীম-পিকে নির্বাচনে সাহায্যকারীর ভূমিকায় থাকুক – কিন্তু নির্বাচনটা পরিচালনা করুক তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই। সেই কারণেই ফালাকাটা নিয়ে এই সিদ্ধান্ত কিনা – সেদিকেই আপাতত তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!