আপোসে বদলি হওয়া স্কুলশিক্ষকের বেতন কমে গেল! রাজ্য সরকারের তীব্র ধাক্কা আদালতে কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য August 23, 2018 একজন স্নাতক এবং অপরজন স্নাতকোত্তর যোগ্যতাসম্পন্ন হলেও দুজনেই শারীরশিক্ষার শিক্ষক। কিন্তু, আপোসে বদলির ফলে বেতন কমে গেল স্নাতকোত্তর যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের! সূত্রের খবর, সরকারের এক আমলার এহেন সিদ্ধান্ত পুরোটাই খারিজ করে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি সরাফ। এদিন মামলাকারী পার্থপ্রতীম বিশ্বাসের বদলির আবেদনে বিচারপতি তাঁর রায়দানের সময় বলেন, “তিনি কত বেতন পাচ্ছেন, তা কিছুই লুকোননি। এমনকী শারীরশিক্ষার শিক্ষকদের একটাই শ্রেনী থাকায় ২০১৩ সালের কোর্টের নির্দেশনামা অনুযায়ী তাঁরা একই হারে যোগ্যতাসম্পন্ন বেতন পাচ্ছেন”। এখানেই বিচারপতি আরও উল্লেখ করেন যে, সরকারের মতানুযায়ী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রার্থীর মধ্যে মিউচুয়াল ট্রান্সফার যদি অসম্ভব হয় তবে এই আবেদন সরকারের উপেক্ষা করার নিয়ম থাকলেও সরকার তা না করে আবেদনকারীদের বেতন কমিয়ে দেওয়া সত্যিই বেআইনি! এমনকী এদিন তাঁর রায় উল্লেখ করতে গিয়ে ২০১৭ সালের ৭ ই মার্চ যে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল তাও খারিজ করা হল। এমনকী এই রায় দিতে গিয়ে মামলাকারীকে স্নাতকোত্তর যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক হিসাবেই আগের বেতন দেওয়া এবং প্রাপ্য বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলার স্কুল পরিদর্শককে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে জানা যায়, ১৯৯৯ সাল থেকেই বার্নিয়া হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসাবে কাজ করার পর সেনপাড়া রাধারানি হাইস্কুলের শিক্ষক বিনয়চন্দ্র মন্ডলের সাথে আপোসে বদলি নেন এই পার্থপ্রতীমবাবু। কিন্তু, আগে স্নাতকোত্তর হিসাবে বেতন পেলেও পরে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি স্নাতক যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক হিসাবে বেতন পেতে শুরু করেন। সূত্রের খবর, এদিন মামলাকারীর আইনজীবি বিশ্বরূপ বিশ্বাস আদালতের কাছে আর্জি জানান যে, ওয়েষ্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশন পৃথক বেতন প্রসঙ্গে কিছুই বলেনি। কোনোও যুক্তিতেই “বেসিক পে” কমানো যায় না। আর যদি তা মানা না হয় তাহলে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা হিসাবে চিহ্নিত হবে। অপরদিকে মামলাকারী নিজেই আপস বদলির জন্য উচ্চহার বেতনপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যার কারনে এই স্নাতকোত্তর যোগ্যতাসম্পন্ন হিসেবে বেতন পাওয়ার অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন। আর এদিন দুই পক্ষের সওয়াল শুনেই এই নির্দেশ জারি করেছেন আদালত। ফলে স্কুল শিক্ষকদের আপোসে বদলিতে বেতন অপরিবর্তিত থাকার ক্ষেত্রে এই রায় যুগান্তকারী হয়ে রইল বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। আপনার মতামত জানান -