ছাত্র সংসদের দখল নিয়ে বাংলার নামী মহিলা কলেজে যা হল জানলে আঁতকে উঠবেন উত্তরবঙ্গ রাজ্য August 10, 2018 ছাত্র সংসদ কার দখলে থাকবে? এই প্রশ্নকে ঘিরেই উত্তাল হয়ে উঠল জলপাইগুড়ির প্রসন্নদেব মহিলা কলেজ। টিএমসিপির দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব এতোটাই মাথাচাড়া দিয়ে উঠল তুমুল সংঘর্ষ হয়ে গেল কলেজ চত্বরেই। কথা কাটাকাটি থেকে শুরু করে ধস্তাধস্তি শেষে মারামারির পর্যায়ে পৌছালো পরিস্থিতি। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দুই গোষ্ঠীরই বেশ কিছু পড়ুয়া। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশকে আসতে হয়েছিল কলেজে। কেন শিক্ষাঙ্গন ফের হিংসার শিকার হল? আসুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক। এদিন সকালে প্রথম বর্ষের ছাত্রীরা কলেজে ঢুকতে শুরু করলেই গেটের মুখেই তাঁদের আটকে দেয় ছাত্র সংসদ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন ছাত্রীরা বলে অভিযোগ। এমনকি তারপর জোর করে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয় তাদের থেকে বলেও অভিযোগ ওঠে। আর তারপরই অশান্তি দানা বাঁধতে থাকে। কলেজের প্রথম পর্বে ছাত্রীদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, সংসদের সদস্যাদের বাধা দিতেই কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তারপর হাতিহাতি থেকে চুলোচুলির পর্যায়ে পৌছায় পরিস্থিতি। উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। মুহূর্তেই মারামারির জেরে রণাঙ্গন হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অভিযোগ – একজন ছাত্রীর তো নখও উপড়ে গিয়েছে। বেশ কিছু ছাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। তবে প্রত্যেকেকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বেধড়ক মারধোরের শিকার হন ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক অনিপ্রা ঘোষ বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। তবে কলেজে কেন প্রাক্তন এবং নবীন ছাত্রীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে মারমুখী হয়ে উঠলেন সে ব্যাপারে কিছু জানেননা বলেই সাফ জানিয়ে দিলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাশ্বতী দাস। তবে কলেজ চত্বরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থলে পৌছান জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল। এমনকি তাঁদের উপস্থিতিতেই সমানতালে চলছিল মারামারি। তবে পুলিশি তৎপরতায় কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আপাতত ফের যাতে এরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়,তার জন্য কলেজে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে দু পক্ষের তরফ থেকেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে জলপাইগুড়ি থানায় । তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। তবে সামগ্রিক ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে শাসকদল। এমনিতেই ছাত্র ভর্তিতে দুর্নীতি ও তোলাবাজি নিয়ে সরব বিরোধীরা, তার উপরে ছাত্র সংসদের দখল নিয়ে এই ঘটনা সামনে আসায় বিরোধীরা সুর আরো ছড়াবেন বলেই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। আপনার মতামত জানান -