এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ৬০০ পদের জন্য আবেদন তিন লক্ষ! বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মী নিয়োগ হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

৬০০ পদের জন্য আবেদন তিন লক্ষ! বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মী নিয়োগ হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

রাজ্যের মাত্রাছাড়া বেকারত্বের স্বরূপ আরোও একবার প্রকাশ্যে এল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সূত্র ধরে। প্রায় ৬০০ টি পদের জন্য আবেদন জমা পড়েছে তিন লক্ষের মতো। পরিস্থিতি সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ শিক্ষা দপ্তরের! গত ২৯ শে জুন ওয়েস্ট বেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মী নিয়োগে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয়েছিল। ২০ শে জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছিল প্রার্থীদের। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই কার্যত অনলাইনে আবেদনের ঝড় উঠে যায় চাকরি প্রার্থীদের।

৫৯২ টি শূন্যপদের জন্য জমা পড়ে মোট ২,৮২,৮১৭ টি আবেদন। এরপর রিয়া দাশের তরফ থেকে এই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে এক আইনজীবী মামলা দায়ের করেন হাইকোর্টে। অন্যান্য যাবতীয় যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও রিয়াদেবী বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পদক্ষেপের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, এমন দাবী করা হয় মামলাকারীর পক্ষ থেকে। কারণ কমিশন ‘অ্যাপ্লিকেশন ফি’ ছাড়া তাঁর ক্ষেত্রে আবেদনের সুযোগ রাখেনি।

মামলাকারী রিয়া দাশের তরফের আইনজীবী সৌমেন দত্ত এক দাবীতে জানিয়েছেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের শূন্যপদ পূরণের জন্য প্রার্থী বাছাই করার ক্ষমতা নেই স্কুল সার্ভিসের। অথচ ওয়েস্ট বেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে সেই দায়িত্ব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে মামলাকারী তরফের যুক্তি খারিজ হয়ে যায় প্রতিপক্ষের অন্য একটি যুক্তির সামনে। আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ২০ জুলাই, কিন্তু উক্ত কারণে মামলাকারী আবেদন করেননি। এরপর ২৭ জুলাই মামলাটি দায়ের করেন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে এই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তিকে মান্যতা দিয়ে বিচারপতি অরিন্দম সাহা ২৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি খারিজ করে দেয় এবং রায়ে বলা হয়, প্রার্থী হিসাবে আবেদন করার কোনোরকম চেষ্টা না করেই মামলা করেছেন রিয়া দাশ। ফলত সেইকারণেই মামলাটি খারিজ করা হল। এই সূত্র ধরেই রিয়া দেবী ডিভিশন বেঞ্চের দোরগোড়ায় হাজির হন। বেঞ্চও এদিন উপরোক্ত স্থগিতাদেশ দিয়ে জানিয়েছে, কমিশনের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানোর অধিকার রয়েছে। আইসসম্মত ভাবেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। তবে একটি মাত্র আইনি প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। সেক্ষেত্রে কিছুটা জট তৈরি হয়েছে।

তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তি অনুসরণে বিচারপতি অরিন্দম সিনহা গত ২৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি প্রথমে খারিজ করলেও, মামলাকারী রিয়া দাশ ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। আর সেখানেই, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে, আবার একটি চাকরির পরীক্ষা চলে গেল বিশ বাঁও জলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!