এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ফের বড়সড় যোগদান বিজেপিতে ,জেনে নিন বিস্তারিত

ফের বড়সড় যোগদান বিজেপিতে ,জেনে নিন বিস্তারিত

দীপাবলীর আগেই প্রায় গোটা দেশ নির্বাচনের আবহে। কোনো রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, তো কোথাও উপনির্বাচন। লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই মহারাষ্ট্রে, হরিয়ানাতে বিধানসভার সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে আগামী একুশে অক্টোবর। এর পাশাপাশি 51 টি আসনে হবে বিধানসভা উপনির্বাচন। হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি তাদের নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে হরিয়ানা বিধানসভার ভোট দখলের লক্ষ্যে নানান পরিকল্পনা সম্বলিত ইস্তেহার প্রকাশ করেছে বিজেপি। আর এর পরেই উল্লেখযোগ্যভাবে কংগ্রেস থেকে দুই প্রভাবশালী নেতা এসে বিজেপিতে যোগ দিলেন।

হরিয়ানায় কংগ্রেস এমনিতেই বিজেপির সামনে বেশ দুর্বল। শনিবার সেই দুর্বল কংগ্রেস গড়েই ধাক্কা দিয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের হাত ধরে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন 2 প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা।

শনিবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর কংগ্রেস দলত্যাগী দুই নেতার হাতে দলীয় পতাকা তুলে বিজেপি তাঁদের সাদর সম্ভাষণ করেন। এই দুই কংগ্রেস নেতার মধ্যে একজন হলেন, তরুণ ভান্ডারী। যিনি প্রদেশ কংগ্রেসের ট্রেজারারের দায়িত্বে ছিলেন। অন্যজন হলেন, সন্তোষ শর্মা। ইনি স্থানীয় কংগ্রেসের এক প্রভাবশালী নেতা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ভোটের পূর্ব মুহূর্তে এসে কংগ্রেস থেকে এই দুই নেতার বিজেপিতে আগমন বিজেপির কিছু অতিরিক্ত সুবিধা দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর জানিয়েছেন এদিন, কংগ্রেস থেকে এই দুই নেতা বিজেপিতে আসার কারণে দুই নেতাকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এও জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছর ধরে হরিয়ানায় বিজেপি সরকার উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে ক্রমাগত। সেই উন্নয়নের কাজে শরিক হবার জন্যই এবার কংগ্রেস থেকে 2 নেতা বিজেপিতে এসে দাঁড়িয়েছেন বলেই দাবি করেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর।

সমস্ত ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, নির্বাচনের আগে কংগ্রেস দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে আসায় কংগ্রেস যে যথেষ্ট অসুবিধায় পড়বে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অন্যদিকে, এই দুই কংগ্রেস নেতা আসার কারণে যথেষ্ট লাভ হলো বিজেপির। অন্যদিকে, কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, এই দুই দল ত্যাগী নেতার যাওয়ার কারণে কংগ্রেস দলে কোন ছাপ পড়বে না। রাজনীতির মঞ্চে তাঁরা যেভাবে লড়াই করে এসেছে এতদিন পর্যন্ত, সেভাবেই লড়ে যাবে সামনের দিনে। কিছু সুবিধাবাদী নেতা সময়-সুযোগ ব্যবহার করে এ দল থেকে অন্য দলে ঘুরে বেড়াতে থাকে। তাঁদের কথা কানে না নেওয়াই ভালো। হরিয়ানার সমগ্র রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে দেশের রাজনৈতিক মহল। আপাতত একুশে অক্টোবরের দিকেই তাকিয়ে সবাই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!