এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বাংলায় সেতু দুর্ঘটনা আটকাতে বড়সড় পদক্ষেপ মমতার! ভাঙলেই কোপ পড়বে ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ারদের উপর

বাংলায় সেতু দুর্ঘটনা আটকাতে বড়সড় পদক্ষেপ মমতার! ভাঙলেই কোপ পড়বে ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ারদের উপর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সেতু ভাঙলেই এবার থেকে নেমে আস্তে চলেছে শাস্তির খারা। ভগ্ন সেতুর দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ার সকলকেই শাস্তিদান করার নিদান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী । প্রসঙ্গত, গত ২৮ সে জুলাই উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার বাগড়াকোটের কাছে আচমকাই ভেঙে পরে জুরান্তি সেতু। হঠাৎ এই ঘটনা ঘটায়, সেসময়ে সেতুটির উপর দিয়ে চলাচল করা একটি পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকে যায় সেতুটির ভাঙা অংশে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দুজনের।

জুরান্তি সেতুর এই অকস্মাৎ ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যসচিব রাজীব সিংহকে উদ্দেশ্য করে একটি নোটে লেখেন, “আমি জানলাম ২০১২ এর সেপ্টেম্বর মাসেও সেতুটি এক বার ভেঙেছিল। জানতে চাই, কোন সংস্থা সেতুটি তৈরি করেছিল, কারা এর রক্ষণাবেক্ষণ করে। কোন অফিসারের এই সেতুর উপর তদারকির ভার রয়েছে? কেন একই সেতু বার বার ভেঙে পড়ছে?” এখানেই শেষ নয়, এরপর মুখ্যমন্ত্রী সেতুভাঙ্গার কারণ জানতে চেয়ে পূর্ণ তদন্তের আদেশ দিয়ে, তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশও দিয়েছেন।

এই সেতুটি কেন এমনভাবে ভেঙে পড়লো? সেতুটির দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা কী ভূমিকা পালন করেছেন? এই সমস্ত বিষয় জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেতুটির বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ রাজ্যের পূর্ত সচিব নবীন প্রকাশকে সেতু ভাঙার বিষয়ে তাড়াতাড়ি তদন্ত করে তার রিপোর্ট পেস করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে মুখ্যমত্রীর আদেশমত তিনদিনের মধ্যে এবিষয়ে তদন্ত শেষ করা সরকারের পক্ষে সম্ভব হয়নি, এমনটাই নবান্ন সূত্রের খবর।

এখানেই শেষ নয়, রীতিমতো ফরমান জারি করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে সেতু ভেঙে পড়লেই সেতুটির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ার, অধিকারীর সকলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই প্রসঙ্গে কয়েকবছর আগে ভেঙে পড়া মাঝেরহাট সেতু, পোস্তা বিবেকানন্দ সেতুর দায়িত্বে থাকা অফিসারদের বিরুদ্ধে কি কি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, এই সমস্ত কিছু জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, মাঝেরহাট সেতুটি পূর্ত দফতরের অধীনে তৈরী হলেও, বিবেকানন্দ সেতুটি তৈরী হয়েছিল কেএমডিএ-এর অধীনে। এই দুটি সেতুর ব্যাপারেই রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ রাজ্যের পূর্ত সতিব নবীন প্রকাশকে পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৬ সালে রাজ্যের বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে ভেঙে পড়ে যায় পোস্তা বিবেকানন্দ সেতুটি। সেতু নির্মাতা দুজন সরকারি ইঞ্জিনিয়ারদের উপরে মামলা জারি করা হলেও, জমা পড়েনি চার্জশিট। এই বিষয়ে হায়দ্রাবাদ এর একটি কন্ট্রাকশন কোম্পানির কর্মরত ১০ জন কর্মী, আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলার পর চার্জশিট দিয়েও, তাদের জামিন রোধ করা সম্ভব হয় নি।

অন্যদিকে গত ২০১৮ সালে মাঝেরহাট সেতুটি ভেঙে পড়লে রাজ্য সরকার তার দায় মেট্রোরেলের উপরে চাপিয়ে দেয়। সরকারের তরফ অভিযোগ আনা হয়, মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের জন্যেই এই সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তারপর সংশ্লিট সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার, আধিকারিকদের সাময়িক শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, মাঝেরহাট সেতুটি ভেঙে পড়ার পরেই রাজ্যের পূর্ত দফতরের অধীনস্ত রাজ্যের প্রায় ১৬০০ টি ছোট-বড় সেতুর রক্ষণাবেক্ষনের একটি ডিরেক্টরেট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এরসঙ্গেই প্রতি তিনমাস পরপর রাজ্যের সমস্ত সেতুর সাম্প্রতিক অবস্থা পরিদর্শন করে তা সরকারি ‘সমীক্ষা’ পোর্টালে জমা করবারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে, সরকারের এই সমস্ত প্রচেষ্টাই প্রায় ফাইলবন্দিই থেকে গেছে, কাজে তেমন কিছুই হয় নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!