১০ লক্ষ ঘনবসতির রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা! আতঙ্কের কালো মেঘ বাংলার আকাশে! আন্তর্জাতিক বিশেষ খবর May 15, 2020 বিভিন্ন দেশে করোনার মারণ থাবা প্রসারিত করে অবশেষে করোনার পা পড়েছে বাংলাদেশে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার করোনার হাত থেকে বাঁচার জন্য দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তার মধ্যেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক আরো চরম আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে দেশের প্রশাসনের চিন্তার কারণ ছিল কক্সবাজার উপকূলে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবির। কেননা সেখানে প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা একটিই বস্তিতে বাস করেন। প্রশাসনকে এবার দুশ্চিন্তার আরো কাছাকাছি এগিয়ে দিল কক্সবাজারের খবর। সূত্রের খবর, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে এবার করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে বাংলাদেশ জুড়ে। কারণ, রোহিঙ্গা শিবিরের পরিবেশ যেহেতু অত্যন্ত ঘিঞ্জি, তাই সেখানে কারোর করোনা হলে সংক্রমণ দ্রুত অসংখ্য মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। তাই বলাই যায় এবার বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এ প্রসঙ্গে স্থানীয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে কক্সবাজারে 186 জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে 12 জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে অদ্ভুতভাবে প্রথমে দুজন করোনা আক্রান্তের খবর দেওয়া হলেও জানানো হয়, একজন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। পরে ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়, যে দুজন করোনা পজিটিভ রোহিঙ্গা শরণার্থী বলে ধরা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে একজন রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছেন কক্সবাজারের। এই শরণার্থী শিবিরে কম করে দশ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছেন বলে জানা গেছে। ছোট্ট এলাকায় এত বিপুল পরিমাণ মানুষ থাকেন বলে কোনো সংক্রমণ গোষ্ঠী সংক্রমণের আকার নিতে বিন্দুমাত্র সময় নেবেনা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে গণহারে করোনা টেস্ট চালিয়ে যাবার দাবি জানাচ্ছেন চিকিৎসক, গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা। মনে করা হচ্ছে এভাবেই করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যাবে নির্দিষ্টভাবে। এবং আক্রান্তের সন্ধান মিললে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট দিশা পাওয়া যাবে। আপাতত পরিস্থতি কী হতে চলেছে বাংলাদেশে সেদিকে কড়া নজর বিশ্বের ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -