এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিহার নির্বাচন দিয়েছে অনেক শিক্ষা? কাটাছেঁড়া করে ঘুরে দাঁড়ানোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু?

বিহার নির্বাচন দিয়েছে অনেক শিক্ষা? কাটাছেঁড়া করে ঘুরে দাঁড়ানোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিহার বিধানসভা নির্বাচনের সমাপ্তি ঘটেছে সম্প্রতি। আর ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর দেখা গিয়েছে ব্যাপক আকারে জয়লাভ করেছে এনডিএ শিবির। এবারের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএকে হারানোর জন্য মহাজোট তৈরি হয়েছিল আরজেডি, কংগ্রেস, সিপিআই সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির। তবে হেরে গেলেও মহাজোটের মধ্যে থেকে দেখা গেছে বিহারে আরজেডি শিবির ব্যাপক আকারে ভোট পেয়েছে। পাশাপাশি কংগ্রেস যেখানে 70 টি আসনে লড়েছিল, তার মধ্যে মাত্র 19 টি তে জয়লাভ করেছে। আর তাই নিয়েই এবার শুরু হয়েছে কংগ্রেস শিবিরে কাটাছেঁড়া।

বিহার বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর যথারীতি কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা কিন্তু নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে বিহারের কংগ্রেসের প্রচারের দায়িত্ব পেয়েছিলেন যিনি সেই অখিলেশ প্রসাদ সিং দাবি করেছেন, আসন বাছার ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। দলের খারাপ ফলের দায়িত্বভার তিনি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। অন্যদিকে আগামী দিনে দলীয় পদক্ষেপ কি হবে সে ব্যাপারে আলোচনার জন্য তিনি প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন বলে জানা গেছে। কংগ্রেস পর্যবেক্ষক অখিলেশ প্রসাদ সিং বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ভুল আসনে বিহারে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছিল। আসন বাছার আগে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন ছিল আরও।

পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, বিহারে কংগ্রেসের খারাপ ফলের দায় তিনি স্বীকার করছেন। এদিন তিনি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার আবেদন জানিয়েছেন। সাংগঠনিক দুর্বলতা দূর করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথাও বলেন তিনি। অন্যদিকে ভোটের আগে আসন বাছাই এবং কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে এদিন মুখ খুলেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বিহারে কংগ্রেসের আরও বেশি আসনে লড়াই করা উচিত ছিল। তাঁর মতে, বিহারের ভোট প্রমাণ করেছে ছোট দলগুলির তৃণমূল স্তরে সংগঠন অনেক বেশি শক্তিশালী। চিদাম্বরম আরও জানিয়েছেন, বিহারে বিজেপি জোট যতগুলি আসন পেয়েছে বিরোধীরাও ততগুলি পেতে পারতো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু তৃণমূল স্তরে সংগঠন তৈরি হয়নি বলেই এত বড় বিপর্যয় নেমে এসেছে। বিহারের ভোট প্রসঙ্গে চিদম্বরম জানান, 25 টি আসন দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসকে যেগুলিতে বিজেপি এবং তাঁর শরিকরা গত কুড়ি বছর ধরে জিতে আসছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কংগ্রেসের উচিত ছিল ওই আসনগুলি থেকে না লড়া। গত সোমবার দলের আরেক শীর্ষস্থানীয় নেতা কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, আগামী দিনের প্রথম পদক্ষেপ কংগ্রেসের সংগঠনকে জাগিয়ে তোলা। যারা অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, তাঁরা কাজ করবেন। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, অবিলম্বে কয়েকটি স্তরে সাংগঠনিক কাজ করতে হবে। সক্রিয় ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের প্রয়োজন বলে তিনি জানান।

অন্যদিকে কপিল সিব্বাল উল্লেখযোগ্যভাবে এদিন স্বীকার করে নেন, জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের অবস্থা কিন্তু দিন দিন খারাপ হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের প্রতিটি রাজ্যেই প্রায় এনডিএ শাসন রয়েছে। যে গুটিকতক রাজ্যে কংগ্রেসের শাসন ছিল, অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে শাসনভার চলে গেছে বিজেপির হতে। এই অবস্থায় কংগ্রেস শিবির ঘুরে দাঁড়াতে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল তাঁদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে বই কমায়নি। সব মিলিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে কিন্তু ধীরে ধীরে অস্তিত্ব বিলীনের পথে এগোচ্ছে কংগ্রেস বলে দাবী রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!