বিধানসভা নির্বাচনের হাওয়া শুরু হতেই রাজনৈতিক দলগুলির পরিকল্পনা গ্রহণ শুরু জাতীয় January 6, 2020 গত দুই বছরে একের পর এক বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপির ভোট ব্যাংক। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় হারানোর পর ভোটে বিজেপি খুইয়েছে মহারাষ্ট্র। সদ্য হাতছাড়া হয়েছে ঝাড়খন্ড। এরকম পরিস্থিতিতে বিহারকে কোনমতেই খোয়াতে চাইছে না বিজেপি। তাই সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে জেডিইউকে সঙ্গে নিয়ে চলা এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ দেশজুড়ে নাগরিকত্ব ইস্যুতে যেভাবে মোদি সরকারের বিরোধীতা শুরু হয়েছে, সে ক্ষেত্রে বিহারের মাটিতে পা রাখতে হলে জেডিইউ এর মত জোটকে বিরাগভাজন হতে দিতে নারাজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলে জানা গেছে। বিহার নির্বাচনের দিনক্ষণ অবশ্য এখনো ঘোষণা হয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিহারের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে। লালু নীতিশের এলাকায় ভোট নিয়ে রাজনৈতিক মহল এখন সরগরম। বিহারের বিধানসভা ভোট উপলক্ষে এখন থেকেই রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের ভোট পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। দেখে নেওয়া যাক, কোন রাজনৈতিক দল কোন পরিকল্পনা করতে চলেছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে। রামবিলাস পাসোয়ান এর দল লোকজন শক্তি পার্টি ঝাড়খন্ড নির্বাচনের মতোই বিহার নির্বাচনেও বিজেপির থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করলো। রামবিলাস পাসোয়ান এর দল ঝাড়খণ্ডের মত বিহারেও ‘একলা চলো’ নীতি নিয়ে এগিয়ে চলেছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, নাগরিকত্ব ইস্যুতে দেশজুড়ে যেভাবে আন্দোলনের ঝড় উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে এবং ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনে যেভাবে ভোট অঙ্ক সফলতা পেতে দেখা গেল, সে সব কথা মাথায় নিয়েই রামবিলাস পাসোয়ান এর দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে, লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডির পক্ষ থেকে ডাক দেওয়া হয়েছে ‘নিতিশ হটাও’। আর তাতেই বিহারের রাজনীতি সরগরম হয়ে গেছে। আরজেডির পক্ষ থেকে বিজেপি বিরোধী সমস্ত দলগুলিকে একসাথে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানালো এবার। এ প্রসঙ্গে আরজেডির রঘুবংশ প্রসাদ জানিয়েছেন, ‘বিজেপির জোট সরকারকে উচ্ছেদ করতে আমরা সকলে একজোট হব।’ এদিকে, রাজনৈতিক মহলের অন্যতম দল কংগ্রেস সদ্য ঝারখণ্ড নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছে। এবার বিহার নির্বাচনেও তাঁরা ঝাড়খন্ড মডেলটি সামনে রেখে নির্বাচনে লড়তে চলেছে বলে খবর। এক্ষেত্রে লালুপ্রসাদের দল আরজেডির সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে কংগ্রেস বলে জানা গেছে। বিহার রাজনীতিতে বিজেপির শরিক দল হল জেডিইউ। কিন্তু বর্তমানে জেডিইউ-এর সঙ্গে বিহারের বিজেপির যথেষ্ট মতান্তর দেখা গেছে। প্রশান্ত কিশোরের একাধিক বক্তব্য রীতিমতো রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। প্রশান্ত কিশোরের পাল্টা আবার জবাব দেন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদি। এই বাগবিতণ্ডার পরিস্থিতিতে দুই শরিকের মধ্যে সবকিছু ঠিক আছে বলে জানিয়েছেন নিতিশ কুমার। 2019 সালের ভারতীয় রাজনীতিতে অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা হতে চলেছে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন ও বিহার বিধানসভা নির্বাচন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রবর্তন হওয়ার পর এই দুই এলাকার নির্বাচন বিজেপি ও বিজেপি জোট এর জন্য অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সারাদেশে যেভাবে তুমুল আন্দোলন শুরু হয়েছে, সে দিক থেকে বিজেপি কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে। তবে বিধানসভা নির্বাচনগুলি হবার পর বোঝা যাবে, কোন রাজনৈতিক দল কোন স্থানে রয়েছে। আপাতত সম্পূর্ণ পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে দেশের ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -