এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিহার ফর্মুলাতেই বাংলাতেও বাজিমাতের পরিকল্পনায় বিজেপি? হেভিওয়েট নেতারা দিচ্ছেন অস্ত্রে শান?

বিহার ফর্মুলাতেই বাংলাতেও বাজিমাতের পরিকল্পনায় বিজেপি? হেভিওয়েট নেতারা দিচ্ছেন অস্ত্রে শান?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল মঙ্গলবার বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোটের দিনে প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় দফার ভোটের প্রচার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী বিহারের লালুপ্রসাদ-রাবড়ি দেবীর সময়কালকে জঙ্গল রাজের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, নিরাপত্তার অভাব, সামাজিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, সংঘর্ষ, খুন ছিল সেসময়ের নিত্যসঙ্গী। একসময় বিহারে ভোট মানেই প্রাণহানি, রক্তারক্তি দেখা যেত। কিন্তু এখন নির্বিঘ্নে ভোট হচ্ছে বিহারে করোনা সংক্রমনের মধ্যেও। তিনি জানিয়েছেন যে, বিহারে এভাবে শান্তিপূর্ণ ভোট একসময় কেউ ভাবতেই পারেননি। বুথ লুঠ করে, ভয় দেখিয়ে ভোটদানের অধিকার থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করা হতো। অনেকে মনে করছেন, বিহারের ভোট প্রচারের মত বাংলাতেও ভোট প্রচারের পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, বিহারের ভোটের প্রচারের শেষ লগ্ন থেকেই বাংলায় বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, বিহারের মতো বাংলাতে জঙ্গল রাজ চলছে বলে বহু বিজেপি নেতা অভিযোগ করেছেন। বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেছিলেন যে, গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের সময় শাসক দল তৃণমূল অত্যাচারে বহু মানুষ ভোট দিতে পারেনি। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে জঙ্গল রাজের তুলনা করেছেন। তাই বাংলায় ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতৃত্ব জঙ্গল রাজের প্রসঙ্গ তুলতে পারেন।

আবার, গতকাল বিহারে জঙ্গল রাজের প্রসঙ্গ উত্থাপনের পাশাপাশি মেরুকরনের কথাও বলতে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর মুখে। প্রধানমন্ত্রী জানান, বিহারে জঙ্গল রাজ্ ফিরিয়ে আনার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে চান সাধারণ মানুষেরা যাতে ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দিতে না পারেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বিভিন্ন মানুষ আছেন, যাদের ভারত মাতার জয়, জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনতে সমস্যা আছে। এসব শুনলে যাঁদের গায়ে জ্বর আসে। তবে, এসব শুনতে যাদের সমস্যা আছে তাদেরকে নিয়ে বিহারবাসীরও সমস্যা আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিহার ভোটের ঠিক পূর্বেই গলওয়ানে বিহার রেজিমেন্ট এর প্রসঙ্গ তুলে দিয়ে বিহারের আবেগকে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। জাতীয়তা বাদ ও মেরু করণকে উস্কে দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী, বলে মনে করছেন অনেকে। অনেকে মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গেও মেরুকরণের প্রচেষ্টা চালাতে পারে বিজেপি। কারণ, শাসক দল তৃণমূলকে বহুদিন ধরেই সংখ্যালঘু তোষণকারী দল হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকে বিজেপি। অনেকে মনে করছেন বাংলায় ভোট যত এগিয়ে আসতে শুরু করবে, ততই বাড়বে মেরুকরণ। আবার, পশ্চিমবঙ্গের মাটিকে সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি।

আবার, কিছুদিন আগে গুজরাতে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, পুলওয়ামায় যখন বীর জওয়ানরা প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেসময় দুঃখ পেয়েছিলেন সকলেই। কয়েকজন যারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ সিধ্ধির চেষ্টা করছেন তারাই শুধু পাননি। আবার, পুলওয়ামা কান্ড নিয়ে কিছু বিরোধী নেতা অন্তর্ঘাতের ছায়া দেখেছিলেন। কিন্তু পরে পাক সংসদে প্রাক্তন মন্ত্রী স্বীকারোক্তি দেবার পর তাদের আর কিছু বলতে শোনা যায়নি। অনেকে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী তাঁর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে ভোট প্রচারেও এই প্রসঙ্গ উত্থাপনের সম্ভাবনা আছে। যদিও তৃণমূল দাবি করেছে, সীমান্তের ব্যাপারে বরাবরই কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, একবার ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক ব্যাগ বন্ধ করে দেওয়ায় উপকৃত হচ্ছে চট শিল্প। আবার ১০০% আনাজপাতি পাটের বস্তায় বস্তাবন্দি করলে, তার সুফল পাবেন বিহারের পাট চাষী, চট কল কর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গেও ভোট প্রচারে এই বিষয়গুলো নিয়ে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে বিজেপির কিছু শীর্ষ নেতৃত্ব তার ইঙ্গিত দিয়েছেন। অনেকে মনে করছেন বিহারের ফর্মুলা পশ্চিমবঙ্গ খাটাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। যার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে বাজিমাত করতে পারে বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!