এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিহারে যদি শান্তিপূর্ণ ভোট হতে পারলে বংলায় নয় কেন? তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ বিজেপি নেতার

বিহারে যদি শান্তিপূর্ণ ভোট হতে পারলে বংলায় নয় কেন? তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ বিজেপি নেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বাংলার রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে কিনা তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে জল্পনা। তার কারণ বিহার বিধানসভা নির্বাচন তো মিটে গেল। এবার সামনে আসছে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন। আর বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের হাত ধরে বাংলার মসনদ দখল করতে এবার মরিয়া গেরুয়া শিবির। আর তাই বিহারের মত বাংলার শীর্ষ আসনে গেরুয়া শিবির তাঁদের জয় নিশ্চিত করতে চাইছে। আর এবার বিহারের সঙ্গে বাংলার তুলনা টেনে নিয়ে এলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। এদিন তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বিহারে যদি শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হতে পারে তাহলে বাংলার ক্ষেত্রে তা কেন হবে না?

বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের জয় নিশ্চিত। যথারীতি বাংলার গেরুয়া শিবিরও এই জয়ের ফলে উত্তেজনায় ফুটছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে নিজস্ব কটাক্ষে আক্রমণ করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। বাংলায় হিংসা ছাড়া ভোট হয়না- এই নিয়ে বরাবরই বিজেপি অভিযোগ জানিয়ে আসছে। আর সেই অভিযোগকেই আরও একবার সামনে তুলে আনলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি। প্রসঙ্গত বিহারের এনডিএ জোট সমস্ত জল্পনাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে এবং জোটের মধ্যে একক শক্তি হিসেবে বিজেপি উঠে দাঁড়িয়েছে।

আপাতত বিহারে একক বৃহত্তম দল হওয়ার পথেই গেরুয়া শিবির বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিজেপির অন্যতম নেতা অমিত শাহ নীতীশ কুমারের সঙ্গে কথা বলে তিনিই যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন। বিহারে বিজেপির সাফল্যে খুব স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজিত রাজ্যের বিজেপি নেতারা। এদিন জয়প্রকাশ মজুমদার বাংলার নির্বাচনে রক্তপাতের প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিহারের ভোটে একটি কেন্দ্রেও বুথ দখল, রিগিং হয়নি। অন্যদিকে আজ নন্দীগ্রাম দিবসে তৃণমূলের মধ্যে যে ব্যাপক ফাটল ধরেছে তা স্পষ্ট হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী এবং ফিরহাদ হাকিমের আলাদা আলাদা সভা ঘিরে।

আর এই ঘটনাকেই তৃণমূলের সার্কাস বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। সামনের বছর বাংলা বিধানসভার নির্বাচনে বিহারের বিজেপির জয়ের প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অন্যদিকে সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা অমিত শাহ রাজ্যে এসে গেরুয়া শিবিরকে 200 আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের অনুশাসনের মধ্যে চলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি বলে জানা গিয়েছে। এবার বিহারে বিজেপির জয় বাংলার গেরুয়া শিবিরে নব উদ্যোগ নিয়ে এলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এখনো পর্যন্ত।

অবশ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গণনা চলছে তাই যেকোনো মুহূর্তে ফলাফল বদলে যেতে সময় লাগবে না। কিন্তু তাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এনডিএর জয়। শান্তিপূর্ণ ভোটের কারণে বিহারে এনডিএর জয় হয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, তৃণমূল সরকারকে চাপের মুখে রেখে রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবি করলেন বিজেপি নেতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দাবীতে স্পষ্ট হয়ে উঠছে রাজ্যে বরাবরই নির্বাচন হয়েছে অশান্তির আবহে। বিহারের পর এবার বাংলা বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে তোরজোর শুরু হয়ে গেল গেরুয়া শিবিরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!