এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিহারে মহাজোট ‘সফল’ হলেও কাঁটা কংগ্রেসের সাথে জোট, বাম-কং জোট নিয়ে বামেদের ভাবনা শুরু

বিহারে মহাজোট ‘সফল’ হলেও কাঁটা কংগ্রেসের সাথে জোট, বাম-কং জোট নিয়ে বামেদের ভাবনা শুরু


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট জয়লাভ করলেও নজর কেড়েছে কিন্তু এবার বিহারের মহাজোট। তেজস্বী যাদব এর নেতৃত্বে বিহারে জোট বেঁধেছিল বাম,কংগ্রেস, আরজেডি। জোরদার প্রচারও চালিয়েছিল তাঁরা। নির্বাচনে এবার মহাজোটের জয় একপ্রকার নিশ্চিত বলেই ধরে নিয়েছিল রাজনৈতিক মহল। যদিও নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে দেখা যায় জয় পেয়েছে এনডিএ জোট। কিন্তু খুব বেশি পিছনে নেই মহাজোট। অন্যদিকে বাম কংগ্রেস একযোগে তেজস্বী যাদবকে সঙ্গ দিয়েছেন যথাযথ। এবার বাংলার পালা। মহাজোট বিহারে সফল বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে এবং মহাজোটে বামেদের ফল কিন্তু অন্যদের তুলনায় বেশ ভালো।

এবার বাংলাতেও বাম কংগ্রেস জোট নিয়ে শুরু হচ্ছে বিভিন্ন পরিকল্পনা। কিন্তু বাংলায় বাম শিবিরের কাছে কংগ্রেসের সাথে জোট নিয়ে এখনো অস্বস্তি রয়ে যাচ্ছে। বিহারে যেখানে মহাজোটের শরিক হয়ে কংগ্রেস লড়ছে 70 টি আসনে তার মধ্যে জয় পেয়েছে মাত্র 19 টি তে। অন্যদিকে বামেরা 29 টি আসনে লড়ে 16 টি আসনে জয় পেয়েছে। যথারীতি বামেদের পাল্লা ভারী। কংগ্রেস মহাজোটের মধ্যে বেশ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। যথারীতি তাঁদের উদ্যোগ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মহাজোটের হারের পেছনে কংগ্রেসের সিদ্ধান্তহীনতাকেই অনেকেই দায়ী করছে। অন্যদিকে বাংলাতেও কংগ্রেসের খুব একটা গতি নেই এবং তা দেখেই সংসয়ে পড়েছে বাম শিবির।

ইতিমধ্যেই বাম শিবিরের একাংশ থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কংগ্রেসের সাথে আসন সমঝোতা 2016 সালের মতন ঘেঁটে যাবে নাতো! অন্যদিকে বিহারের ফল সামনে আসতেই এবার আসন রফা নিয়ে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে বাংলায় শুরু হয়েছে চাপা বিতর্ক। বিহারে 12 টি আসন জিতে নেওয়ার পরেই সি পি আই (এম এল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, কংগ্রেস সব সময় তাঁদের ঐতিহ্য নিয়ে চিন্তা করে। কিন্তু ঐতিহ্যের সঙ্গে বর্তমানকে মেলাতে হবে সব সময়। দীপঙ্কর বাবু আরো জানিয়েছেন বিহারে বাম এবং কংগ্রেস যদি সমান আসনেও তাহলে হয়তো অন্যরকম হতো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বাংলার এআইসিসি পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ জানিয়েছেন, 2016 সালে বাংলায় কংগ্রেস 44 টি আসন জিতেছিল। অর্থাৎ তাঁদের স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় 50%। সে বছর বামেরা পেয়েছিল শুধুমাত্র 33 টি আসন অর্থাৎ সাফল্যের ক্ষেত্রে তারা অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। তবে জিতিন প্রসাদ এদিন জানিয়েছেন, শুধুমাত্র অংক নয় জোট গড়ে ওঠে আদর্শ ও অভিন্ন লক্ষ্যের উপর। অন্যদিকে বাংলায় এখনো পর্যন্ত বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। জানা যাচ্ছে, বামেরা তৈরি থাকলেও কংগ্রেসের তরফ থেকে কিন্তু একের পর এক যৌথ কর্মসূচি বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে তাও বাম শিবিরে সংশয় জাগাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে অবশ্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জোট নিয়ে নিশ্চিন্ত করেছেন সবাইকে। তবে এবার বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী শিবির চিন্তায় পড়েছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মিমকে নিয়ে। কংগ্রেসের মতে সংখ্যালঘু ভোট টেনে বিজেপির সুবিধা করে দিতেই এ রাজ্যে তাঁদের আসা। অন্যান্য রাজ্যে যখন সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করা হয় তখন কিন্তু আসাদুদ্দিন চুপচাপ থাকেন। ভোটের প্রাক্কালে তিনি বাংলার সংখ্যালঘুদের ত্রাতা হয়ে উঠতে চাইছেন।

তবে বিহারের পরিস্থিতি লক্ষ্য রেখে কংগ্রেস দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী একযোগে এদিন জানিয়েছেন, এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস মহাজোট বিজেপি এবং তৃণমূলের রাস্তা অনেকাংশেই কঠিন করে দেবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের ফলাফল এরাজ্যের বাম শিবিরকেও যথেষ্ট উজ্জীবিত করেছে। আর সেদিকে নজর দিয়ে বলাই যায়, রাজ্যের বাম শক্তি কিন্তু এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার জন্য নতুনভাবে চিন্তাভাবনা চালাচ্ছে। অন্যদিকে বিহারে কংগ্রেসের থেকে বামেরা এগিয়ে যাওয়ায় এই রাজ্যেও কংগ্রেসের তুলনায় বামেরা যে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে, সে কথা বলাইবাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!