বিহারের ফলাফল দেখেই কি নয়া পদক্ষেপ মমতার, বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে মমতা প্রশাসন তৃণমূল পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজনীতি রাজ্য November 13, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের সাংগঠনিক রদবদলের ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। আর সেই অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বদল এখনো পর্যন্ত হয়ে চলেছে। সংগঠনের পাশাপাশি প্রশাসনিক স্তরেও বদল হচ্ছে নিয়মিত। দলের অন্দরে শোনা যাচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত এই বদল হতেই থাকবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। আর এবার রাজ্যের তৃণমূল নেত্রী বাঁকুড়া জেলায় নিলেন নতুন প্রশাসনিক পদক্ষেপ। প্রশ্ন উঠেছে, বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল আসতেই তৃণমূল নেত্রীর কি এই পদক্ষেপ? বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই বাঁকুড়ার পুর প্রশাসক মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার তাঁকে সরিয়ে বাঁকুড়ার পুরসভার প্রশাসকের পদ দেওয়া হচ্ছে প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধান দিলীপ আগরওয়াল, ট্রেড ইউনিয়ন নেত্রী অলকা সেন মজুমদার এবং শিক্ষক নেতা গৌতম দাসকে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে জয়েন্ট সেক্রেটারির স্বাক্ষরিত এই নির্দেশ পৌঁছে গেছে বাঁকুড়া পুরসভায়। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তের জায়গায় এবার পৌরসভা প্রশাসক মন্ডলীর সভাপতি দায়িত্বভার নিতে চলেছেন অলকা সেন মজুমদার। আগামী 11 ই নভেম্বর অলকা সেন মজুমদার তাঁর নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তকে পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরানোর খবরে ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া জেলা রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। গত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ায় কিন্তু শাসকদল অনেকটাই পিছিয়ে যায়। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বাঁকুড়া জেলা পুনরুদ্ধার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই উদ্দেশ্যেই এই ব্যাপক পরিবর্তন বলে মনে করছেন অনেকে। তবে মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তকে তৃণমূল নেত্রী এর আগেও প্রশাসনিক বৈঠক এসে যথেষ্ট ভর্ৎসনা করেছিলেন। অন্যদিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়ার খবর পেয়ে মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, 2015 সালে তিনি পুর প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি দাবি করেছেন, বাঁকুড়া পুরসভাই হচ্ছে প্রথম পুরবোর্ড, যার বিরুদ্ধে কোনো রকম কোনো দিন অনাস্থা প্রস্তাব আসেনি। অন্যদিকে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, দল হয়তো তাঁকে বড় কোন দায়িত্ব দিতে পারে। অন্যদিকে নতুন দায়িত্ব পেয়ে অলকা সেন মজুমদার ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তিনি বাঁকুড়া পৌরসভার 24 টি ওয়ার্ডের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবেন, সবার মতামত নিয়েই তিনি কাজ করবেন। পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা জানান, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে রুটিন পরিবর্তন করা হচ্ছে। এই নিয়ে কোন রকম সমস্যা নেই। সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ বলে দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে গেরুয়া শিবির কিন্তু ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছে তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে। বাঁকুড়া জেলার বিজেপি শিবির থেকে বলা হচ্ছে, তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক পদে বদল এলো। সব মিলিয়ে বাঁকুড়া পুরসভা প্রশাসনের বদল ঘিরে রাজনৈতিক মহলে যে জোরদার আলোচনা চলছে তা বলাই বাহুল্য। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাঁকুড়া জেলার পুরসভার প্রশাসনিক স্তরে বদল এনে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিলেন সাধারণ মানুষকে। প্রসঙ্গত সদ্য শেষ হওয়া বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কিন্তু দেখা গিয়েছে বিহারের মানুষের তীব্র প্রতিষ্ঠান বিরোধী ক্ষোভ। এ রাজ্যে যাতে এরকম কিছু না হয়, সে চেষ্টাই করছেন তৃণমূল নেত্রী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আপনার মতামত জানান -