এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিহারের কুরসী দখল আরো কি কঠিন হলো বিজেপির পক্ষে, জেনে নিন কি হলো !

বিহারের কুরসী দখল আরো কি কঠিন হলো বিজেপির পক্ষে, জেনে নিন কি হলো !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চলতি বছরেই বিহারে রয়েছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। করোনা আবহের মধ্যে বিহারেই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। নির্বাচনের পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে বেশকিছু বিরোধের কারণে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে এসেছে লোক জনশক্তি পার্টি বা এলজেপি। তবে, এলজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, বিজেপির বিরুদ্ধে তারা কখনোই প্রার্থী দেবে না। কারণ বিজেপির সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ নেই। কিন্তু এবার বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে দেখা গেল এলজেপিকে। বিহারের প্রথম দফার নির্বাচনে ভাগলপুর, রাঘোপুর ও রোসড়া কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী লড়াই করছেন, তাদের সমর্থন করছে জেডিইউ। আর এই তিনটি আসনেই তাদের প্রার্থী দিল এলজেপি।

প্রসঙ্গত, নীতীশ কুমারের সঙ্গে বেশ কিছু সময় ধরে বিরোধ চলছিল লোক জনশক্তি পার্টি পার্টির প্রধান চিরাগ পাসোয়ানের। এরপরে বিধানসভার আসন বন্টন নিয়ে নীতিশ কুমারের প্রতি বিরোধ বৃদ্ধি পায় তাঁর। তবে তিনি জানিয়েছিলেন যে, বিজেপির প্রতি কোনভাবেই বিরোধ নেই তাঁদের। প্রধানমন্ত্রীর উপর যথেষ্ট আস্থাশীল আছেন তিনি। কিন্তু এনডিএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এনডিএতে থাকতে হলে নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিরোধ করা চলবে না, তাঁর নেতৃত্ব মেনে নিতেই হবে। জোটের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে জোট থেকে বেরিয়ে আসে এলজেপি।

অন্যদিকে দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ তথা দলের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা ও দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপিও জেডিইউ তাদের মোট ২৪ জন নেতা, প্রাক্তন বিধায়ক, মন্ত্রীকে দল থেকে অপসারিত করেছে। অন্যদিকে এলজেপি এই অপসারিত প্রাক্তনীদের নিজ দলভুক্ত করেছে। এর ফলে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক তলানীতে পৌঁছে যায়। এবারে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী ঘোষনা করাতে বিজেপির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও তলানীতে পৌঁছে গেল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, ভোটের যুদ্ধে এলজেপি খুব শক্তিশালী কোনো প্রতিপক্ষ ইতিমধ্যে হতে পারেনি। রামবিলাস পাসোয়ান একাধিকবার ইউপিএ, এনডিএ সরকারে গিয়েছেন। বিভিন্ন কৌশলে বারবার তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এজন্য এলজেপিকে হাওয়া মোরগ বলেও কটাক্ষ করে থাকেন অনেকে। তবে অন্যদলের প্রাক্তনীদের নিজ দলভুক্ত করে ও নানা কৌশল করে পূর্বের তুলনায় কিছুটা শক্তি বাড়িয়েছে এলজেপি।

সদ্য পিতৃহারা চিরাগ পাসোয়ান পিতার মৃত্যুর শোক সামলে দলকে শক্তিশালী করতে একের পর এক কৌশল খাটাতে শুরু করেছেন। একবার তিনি বলছেন, বিজেপির সঙ্গে তার কোনো বিরোধ নেই, কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থীও দিচ্ছেন তিনি। আগামী দিনে কি কি পদক্ষেপ তিনি নেবেন, সেদিকে আগ্রহ রাজনৈতিক মহলের। একের পর এক কৌশল খাটিয়ে বিহারের রাজনীতিতে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে তোলার চেষ্টা করছে লোক জনশক্তি পার্টি। তবে, বিজেপির বিরুদ্ধে চিরাগ পাসোয়ান প্রার্থী দেওয়ায় এই আসনগুলোতে হাডাহাড্ডি লড়াই হবে। দলিত ভোট টেনে বিজেপির বিপদ বাড়াতে পারেন তিনি। আবার সুবিধা করে দিতে পারেন বিজেপির বিরোধী শিবিরকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!