বিজয় মালিয়াকে নিয়ে বড়সড় ধাক্কা মোদি সরকারের, ক্রমশ হাসি চওড়া হচ্ছে মালিয়ার আন্তর্জাতিক জাতীয় June 4, 2020 ঋণ খেলাপির দায়ে অভিযুক্ত বিজয় মালিয়াকে নিয়ে মোদি সরকারের অস্বস্তি দীর্ঘদিনের। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে চেপে ধরেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে গত মাসে ব্রিটেনের হাইকোর্টের পক্ষ থেকেই বিজয় মালিয়াকে নিয়ে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়। যেখানে জানানো হয়, পলাতক শিল্পপতি বিজয় মালিয়াকে বন্দী করে ভারতে প্রত্যর্পণ করতে হবে। শুধু তাই নয়, এই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বিজয় মালিয়া কোনো আবেদন করতে পারবেন না বলে অভিযোগ জানিয়ে দেওয়া হয়। যার পরবর্তী সময়ে প্রায় প্রত্যেকেই আশাবাদী ছিলেন যে, এরপর বিজয় মালিয়ার ভারতে আসতে আর কোনো বাধা থাকবে না। কিন্তু এবার সেই বিজয় মালিয়ার ভারতে আসতে আইনি বাঁধার কথা জানিয়ে দিল ব্রিটিশ হাইকমিশন। যার ফলে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি ব্রিটিশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পলাতক শিল্পপতি বিজয় মালিয়াকে ভারতে নিয়ে আসতে আইনি বাধা রয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনের মুখপাত্র বলেন, “ব্রিটেনের বিধি অনুযায়ী যতক্ষণ না সব আইনি বিষয় নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততক্ষণ কাউকে বন্দি করে স্বদেশে পাঠানো যায় না। বিষয়টি গোপনীয়। আমরা এখনই এই সম্পর্কে কিছু জানাতে পারছি না।” তবে ঠিক কি কি কারণে ভারতে বিজয় মালিয়াকে পাঠানো যাবে না, তা অবশ্য জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ব্রিটেনের বন্দী প্রত্যর্পণ আইনে জানানো হয়েছে, হাইকোর্ট বা সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশ দেওয়া হলে, কোনো ব্যক্তিকে তার 28 দিনের মধ্যে দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। কিন্তু সেই ব্যক্তি যদি নিজেকে উদ্বাস্তু বলে দাবি করে এবং ব্রিটেন সরকারের কাছে আশ্রয় চায়, তাহলে তাকে কোনমতেই ফেরানো যাবে না। সেদিক থেকে ব্রিটেন সরকার দেখবে যে, সেই ব্যক্তি সত্যিই উদ্বাস্তু কিনা। তবে এইখানেই একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি ভারতে আসতে না চেয়ে ব্রিটেন সরকারের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন বিজয় মাল্য? এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। তবে আপাতত যে বিজয় মাল্যের আসা স্থগিত হয়ে গেল, তা কার্যত ব্রিটেনের হাইকমিশনারের মুখপাত্রের কথাতেই পরিস্কার হয়ে গেল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এখন কবে এই জটিলতা থামে এবং কবে বিজয়মাল্য ভারতে ফেরে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -