অন্য নজির এনে বিজয়া দশমী সারলেন বিধায়ক, আবেগে আপ্লুত সাধারণ রাজ্য October 21, 2018 পুজোর দিনগুলোতেও মুখে হাসি ফোটে না তাঁদের। বাঙালির শ্রেষ্ট উৎসবে আট থেকে আশি সকলেই মাতলেও কিছু মানুষের কাছে পুজোর দিনগুলো,বছরের আর পাঁচটা বাকি দিনের মতোই। নতুন পোশাক, মন ভালো করা আয়োজন তাঁদের জন্য থাকে না। দু বেলা দুমুঠো ভাত পেলেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন তাঁরা। এবার সেইসব বয়সের ভারে ন্যুব্জ মানুষগুলোকে নিয়েই বিজয়া পালন করে মানবিকতার অন্য নজির গড়লেন নদীয়ার নবদ্বীপের বিধায়ক পুন্ডরীকাক্ষ সাহা। প্রতিবারের মতো এবছরও সহায়সম্বলহীন ৭০০ জন বৃদ্ধাকে নিয়ে একাদশীর দিন কাটালেন বিধায়ক। আবেগে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি সত্তরোর্ধ্ব গীতা দেবনাথ, আশির দোরগোড়ায় দাঁড়ানো উমারাণী ঘোষেরা। বৃদ্ধাদের চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে একটি আনন্দের দিন তাঁদের উপহার দিতে পারায় সন্তুষ্ট বিধায়ক। বললেন,পুজোর এই বিশেষ দিনগুলোতে সবথেকে অবহেলিত হন এই অসহায় মানুষগুলো। এদের পাশে দাঁড়াতে পেরে তিনি নিজের খুশীও ব্যক্ত করেন। জানালেন,আমি ”এইদিনটির জন্য অপেক্ষা করি। ওঁদের আশীর্বাদই আমাদের পাথেয়।” জেলা সূত্রের খবর থেকে জানা যায়,নবদ্বীপের পোড়াঘাটের কাছে বড় ভজনাশ্রমে জমায়েত হওয়া বৃদ্ধাদের প্রত্যেকের হাতে থালা ভর্তি মিষ্টি, একটি করে শাড়ি,চাদর,গামছা, তুলে দেন তৃণমূলের বিধায়ক পুন্ডরীকাক্ষ সাহা। পাশাপাশি বৃদ্ধাদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন নবদ্বীপের বিধায়ক। অনুষ্ঠানে বিধায়কের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শচীন বসাক, বিডিও বরুণাশীস সরকার ও নবদ্বীপ থানার আইসি সুবীর পাল-সহ জেলার আরো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। বিজয়া দশমীর পর বিধায়কের তরফ থেকে এ ধরণের সহায়তা পেয়ে বেজায় খুশি প্রবীণ মুখগুলো। গীতা দেবনাথ জানালেন, সারাবছর এই দিনটার জন্যেই অপেক্ষা করে থাকেন তাঁরা। আপনজন বলতে কেউ নেই। ভজন আশ্রমে হরিনাম সংকীর্তণ করেই জীবন কাটে তাঁর। ভিক্ষার মাধ্যমে যা পাওয়া যায় তা দিয়েই কোনোক্রমে দিন গুজরান হয় তাঁদের। বিজয়ার প্রণামের পাশাপাশি মিষ্টি,নতুন বস্ত্র পেয়ে মন ভরে গিয়েছ তাঁর। অন্যদিকে বছর আশির উমারাণী ঘোষ কান্নায় ছলছল চোখ মুছে বললেন, ”ছেলে আমার থেকেও যেন নেই। প্রতি বছর ভাবি এবার হয়তো ছেলে এসে পুজোর সময় আমাকে শাড়ি দেবে। সেই আশায় বসে থাকি। কিন্তু কোনও বছরই ছেলে আসে না।” তাই বিধায়ককেই নিজের ছেলে বলেই মন ভরে আশির্বাদ করলেন তিনি। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল বিধায়কের এই মানবিক আচরণ শাসকদলের ভাবমূর্তিকে আরো উজ্জ্বল করে তুলল রাজ্যবাসীর কাছে। মা-মাটি-মানুষের সরকার যে মানুষের হয়ে মানুষের জন্য কাজ করে তা আরো একবার প্রমাণিত হয়ে গেল নবদ্বীপর এই তৃণমূল বিধায়কের মাধ্যমে। যে রাজ্যে সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে শাসলদলের নাম বারবার অভিযোগে প্রকাশ্যে এসেছে,সেই রাজ্যেই পুন্ডরীকাক্ষের মতো তৃণমূলের কর্মীরাও থাকেন যাঁদের জন্য শাসকদলের গরিমা আরো তরান্বিত হয়। লোকসভা ভোটের আগে এধরণের খবর সামনে আশায় সাধারণ মানুষের তৃণমূলের প্রতি আস্থা আরো বাড়বে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল। আপনার মতামত জানান -