এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিজয়া দশমীতে আবেগে ভরা খোলা চিঠি দিলীপ ঘোষের! বাংলার বুকে গেরুয়া ঝড় ওঠার স্পষ্ট ইঙ্গিত?

বিজয়া দশমীতে আবেগে ভরা খোলা চিঠি দিলীপ ঘোষের! বাংলার বুকে গেরুয়া ঝড় ওঠার স্পষ্ট ইঙ্গিত?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দশমীর সকালে যখন বিষাদের সুর শোনা যেতে শুরু করেছিল, ঠিক তখনই খোলা চিঠি দিয়ে বাঙালির আবেগকে উস্কে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবারের পুজো সত্যিই অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু অন্যরকম। করোনা ভাইরাসকে সঙ্গী করে উৎসবে অনেকটাই আনন্দকে দূরে রাখতে হয়েছে আমজনতাকে। তাই এই পরিস্থিতিতে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে বেশ কিছু পুজো উদ্বোধন হয়েছে।

আর আশ্চর্যজনকভাবে বাংলার বেশকিছু পুজো সেই ভার্চুয়ালের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অর্থাৎ বিজেপি প্রথম থেকেই শারদোৎসবের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের মনে জায়গা করে নিতে উদ্যত হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার দশমীর দিন আবেগে ভরা চিঠি লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে তার চিঠির পরোতে পরোতে আগামী দিনের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যাতে ক্ষমতায় আসতে পারে তার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাতে দেখা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, এদিন নিজের খোলা চিঠিতে দিলীপ ঘোষ লেখেন, “বিজেপি রাজ্য সভাপতি হিসেবে সংঘাত ও সফলতার সুপরিচিত যাত্রাপথে বেশ কয়েকটা বছর কেটে গেল। আজ বিজয়া দশমীর দিন আপনাদের সামনে একটু কিছু মনের কথা তুলে ধরা প্রাসঙ্গিক মনে হল। বিগত কয়েক বছর যাবৎ আপনারা আমার ভাই, বোন, বন্ধু, পরিবার। আমার আজও মনে আছে সেদিনের কথা। যেদিন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমার কাধে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব অর্পণ করেন এবং আপনার আন্তরিকতার সঙ্গে আমাকে সসম্মানে বরণ করে নিয়েছিলেন। আপ্লুত হয়েছিলাম সেদিন। প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, সাফল্য অর্জন করে আপনাদের সম্মানিত করব। অতি প্রয়োজন ছাড়া এক দন্ড অবসর নিইনি। আমার ব্যক্তিগত সুবিধা-অসুবিধার চেয়েও দলের প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”

আর এরপরই গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যেভাবে বাংলায় সাফল্য পেয়েছে, তার কথা তুলে ধরে আগামী দিনের জন্য সকলকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান দিলীপ ঘোষ। তিনি লেখেন, “2016 সালের নির্বাচনে 10 শতাংশ জনগণের আশীর্বাদপুষ্ট আমাদের দল 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে 40 শতাংশের ওপর মানুষের আশীর্বাদে ধন্য হয়েছে। যা আপনাদের হার না মানা জেদের ফলেই সম্ভব হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে 18 জন সাংসদকে জিতিয়ে আনা আপনাদের দায়বদ্ধতার স্বপক্ষে এক প্রামাণ্য দলিল। একটা সময় ছিল যখন বুথ ভিত্তিক কার্যকর্তা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ছিল। আজ প্রায় সব বুথেই একাধিক কর্মী সক্রিয়। কোনো কোনো বুথে তো কর্মী সংখ্যা শতাধিক।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে যাতে বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তার জন্য নেতাকর্মীদের চাঙ্গা হওয়ার বার্তা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির শাসন প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। কারণ বাংলার গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। সোনার বাংলা গড়তে আমরা রাজ্যবাসীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাজ্য সভাপতি হিসেবে আপনাদের কাছে আবেদন যে, বাংলার স্বার্থে, বাঙালির সাথে আবারও একবার নিজেদের উজাড় করে দিয়ে আমাদের প্রমাণ করে দিতে হবে যে, সদিচ্ছা থাকলে যে কোনো অসাধ্যসাধন আমাদের কাছে অতি ক্ষুদ্র বিষয়।আমাদের পারদর্শিতা আমরা বারবার প্রমাণ করেছি। তা সে লোকসভা ভোট হোক, অথবা পঞ্চায়েত। লক্ষ্য এবার একুশে বিধানসভায় আমাদের সকলকে একজোট হয়ে লড়াই করে ছিনিয়ে আনতেই হবে। সময় এসেছে যখন, আমাদের এক সূত্রে গ্রথিত হয়ে সমবেত কণ্ঠে সংকল্প গ্রহণ করে বলতে হবে যে, করব মোরা, লড়ব মোরা, সোনার বাংলা গড়ব মোরা।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, দিলীপ ঘোষের বিজয়া দশমীতে লেখায় খোলাচিঠি নিঃসন্দেহে আবেগপ্রবণ। তিনি নিজের কাজকর্মের মধ্যে দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের আরও বেশি করে উজ্জীবিত হওয়ার বার্তা দিলেন। শুধু তাই নয়, আগামীদিনে ক্ষমতা দখল করতে পারলেই যে বিজেপির লক্ষ্য পূরণ হবে, তাও এই চিঠির পরোতে পরোতে বুঝিয়ে দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি। সব মিলিয়ে বিজয়া দশমী থেকেই আগামী দিনের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার বার্তা দিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!