এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজয়া দশমীতে আবেগে ভরা খোলা চিঠি দিলীপ ঘোষের! বাংলার বুকে গেরুয়া ঝড় ওঠার স্পষ্ট ইঙ্গিত?

বিজয়া দশমীতে আবেগে ভরা খোলা চিঠি দিলীপ ঘোষের! বাংলার বুকে গেরুয়া ঝড় ওঠার স্পষ্ট ইঙ্গিত?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চারদিনের সফর সেরে সকলকে কাঁদিয়ে আবার শ্বশুরবাড়ীতে ফিরে গেলেন মহামায়া। প্রতীক্ষা একবছরের। এবারের পুজোয় সেভাবে উৎসবে, আনন্দে মাততে পারেনি বাঙালি। ঘরের মেয়েকে কাছে পেয়েও সেভাবে পুজোমণ্ডপে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি আমজনতার। তাই সকলেরই মন কিছুটা হলেও খারাপ। আর এই পরিস্থিতিতে বাংলার আবেগকে উস্কে দিয়ে ময়দানে নেমে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে দশমীর দিন দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখে শুভেচ্ছা জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

একাংশ বলছেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা বারবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বিজেপি বাংলাবিদ্বেষী দল হিসেবে পরিচিত। কিন্তু সেই সমস্ত অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ষষ্ঠীর দিন বাংলায় বক্তব্য রেখে বঙ্গবাসীকে শারদোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আর এবার দিলীপ ঘোষ নিজের দলের নেতাকর্মীদের খোলা চিঠি দিয়ে দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলার আবেগকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, এদিন দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে লেখা খোলা চিঠিতে বাংলা দখলের আহ্বান জানান দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “লক্ষ্য এবার একুশে বিধানসভা। আমাদের সকলকে একজোট হয়ে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনতেই হবে। সময় এসেছে যখন আমাদের এক সূত্রে গ্রথিত হয়ে সমবেত কণ্ঠে সংকল্প গ্রহণ করে বলতে হবে যে, করব মোরা, লড়ব মোরা, সোনার বাংলা গড়ব মোরা।” অর্থ্যাৎ দশমীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ বুঝিয়ে দিলেন যে, এখন তাদের প্রধান টার্গেট বাংলা দখল। তাই উৎসবের শেষ লগ্নে দাঁড়িয়ে দলের নেতাকর্মীদের বাংলা দখলের জন্য আরও বেশি করে কাজ করার বার্তা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে দিলীপবাবু যখন দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের মধ্যে দিয়ে বাংলা দখলের কথা বলছেন, তখন তাকে পাল্টা কটাক্ষ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিনয়এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “রাজনীতিতে সত্যিকারের করোনা ভাইরাস বিজেপি। এ যত তাড়াতাড়ি শেষ হয়, তত বাংলার মঙ্গল। মা দুর্গার কাছে অসুর যেমন থাকে, মা দুর্গা অশুভ শক্তিকে যেমন বধ করে, ঠিক সেইভাবে একদিন করোনাও বধ হবে। আজকের দশমীর দিন দেবীদূর্গার কাছে আমার প্রার্থনা, করোনা বধের মতই বাংলা থেকে বিজেপিকে তাড়ান।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে অস্ত্র পুজো করা নিয়েও এদিন ভারতীয় জনতা পার্টিকে কাঠগড়ায় তোলেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “অস্ত্র পুজো কেন? পুজো করার পর তা দিয়ে কাউকে মারার চেষ্টা করা হবে নাকি? মা দূর্গার কাছেও অস্ত্র থাকে, তবে তা কৃত্তিম। কিন্তু বিজেপি সব সময় অস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামার চেষ্টা করে। যা তীব্র নিন্দনীয়।” আর দিলীপ ঘোষ পুজো শেষ হতে না হতেই যেভাবে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা কটাক্ষ করলেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী, তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, তৃণমূল বিজেপির এই পদক্ষেপে কিছুটা হলেও চাপে রয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, ততই ভারতীয় জনতা পার্টির শক্তি রাজ্যে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।

উৎসব শেষ হলেই বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। তাই এই পরিস্থিতিতে বিজয়া দশমীর দিন যেভাবে নেতাকর্মীদের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য কাজ শুরু করে দিতে নির্দেশ দিলেন দিলীপ ঘোষ, তাতে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গেল শাসকদল। আর তাই তড়িঘড়ি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের কটাক্ষ করতে ময়দানে নামতে হল ফিরহাদ হাকিমের মত হেভিওয়েট মন্ত্রীকে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে আগামীদিনে এই পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!