এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > “বিক্ষোভে মানুষ সমস্যায় পড়ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশ নেই” বড়সড় অভিযোগ বিজেপি সাংসদের

“বিক্ষোভে মানুষ সমস্যায় পড়ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশ নেই” বড়সড় অভিযোগ বিজেপি সাংসদের


সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় জ্বলছে গোটা দেশ। শাহিনবাগে গত একমাস ধরে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন একশোর বেশি মহিলা ও শিশু। দিল্লি পুলিশ প্রথমে বল প্রয়োগ করলেও কাজ হয়নি। বিক্ষোভকারীরা অবস্থান থেকে সরে আসেননি। তবে অবস্থান বিক্ষোভের জেরে শাহীনবাগ কালিইয়াগঞ্জ এলাকায় যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছিল। গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থান-বিক্ষোভ এর ফলে যাত্রীরা অসুবিধায় পড়ছিলেন। যদিও দিল্লির শাহীনবাগের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন একাধিক রাজনৈতিক নেতা এবং অসংখ্য সাধারণ মানুষ। বিরোধীরা এই আন্দোলনকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন বলে দাবি করেছেন।

দিল্লি শাহীনবাগের আন্দোলনের ফলে বুধবার সকালে দিল্লির বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে একটি টুইট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি প্রত্যেক আন্দোলনকারীকে অনুরোধ করেছেন, তাঁরা যেন অবস্থান-বিক্ষোভ ছেড়ে উঠে যান। শুধু তাই নয়, এই জটিল পরিস্থিতির জন্য তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কড়া সমালোচনা করেছেন। দিল্লির লক্ষ লক্ষ মানুষ অসুবিধায় পড়লেও মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল যে এব্যাপারে কোনরকম মাথা গলাচ্ছেন না তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারী।

এ ব্যাপারে সাংসদ মনোজ তিওয়ারি বলেছেন, ‘আমি উদ্বিগ্ন। তাই এই ভিডিও বানিয়েছি। শাহিনবাগে বিক্ষোভের জন্য বহু মানুষ রোজ সমস্যায় পড়ছেন। যে পথ যেতে ২৫ মিনিট লাগত, তা যেতে লাগছে দু’-তিন ঘণ্টা।’ তিনি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেছেন, ‘নাগরিকত্ব আইন কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। শিখ, খ্রিস্টান কিংবা ইসলাম, কোনও ধর্মের মানুষ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত হয়ে যারা চলে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আইন সংশোধিত হয়েছে। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই প্রথম ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে ধর্মের ভিত্তিতে। এই ব্যাপারটি কার্যকর হওয়ার প্রথম দিন থেকেই সারা দেশ আন্দোলনে নেমেছে। যদিও রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য আইন সংশোধন করা হয়নি। বরং অনেককে নাগরিকত্ব দেওয়ারই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ অন্যদিকে, মনোজ তিওয়ারিও শাহবাগের আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিভিন্ন জায়গায় এনআরসি নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে। তাই সেই গুজবে কান না দেওয়ার নির্দেশ তাঁর।

তিনি বলেন, ‘দেশে কোনও এনআরসি হচ্ছে না। এই নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। দয়া করে রাস্তা ফাঁকা করে দিন। আমি আপনাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।’ উল্লেখ্য, শাহীনবাগ জায়গাটি কালিন্দীকুঞ্জের কাছে। শাহীনবাগের সামনে দিয়ে যে পথ গেছে সেখান থেকে ফরিদাবাদ ও নয়ডায় যাওয়া যায়। যেহেতু শাহীনবাগে অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে, তাই সেখানে রাস্তা বন্ধের ফলে ঘুরপথে যাতায়াত করছেন লোকজন। এর ফলে দিল্লী – নয়ডা এবং দিল্লি এক্সপ্রেসওয়েতে ব্যাপক যানজট দেখা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইনকে বেআইনী এবং অসাংবিধানিক দাবি করেছেন শাহীনবাগের আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, মোদি সরকার সংশোধিত আইনের মধ্যে সংবিধানের 14 এবং 15 নম্বর ধারাকে লঙ্ঘণ করেছে। কারণ সংবিধানের 15 নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব কখনো ধর্ম, জাতি, ভাষার উপর নির্ভর করে দেওয়া যায় না। অন্যদিকে, মোদি সরকার সেই ধর্মের নিরিখেই নাগরিকত্ব প্রদান করতে চাইছেন। আপাতত শাহীনবাগের আন্দোলনকারীদের ওঠানোর জন্য হাইকোর্টে যে পিটিশন দেওয়া হয়েছিল তা হাইকোর্ট মঞ্জুর করেছে। কিন্তু পুলিশকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে যে শাহীনবাগের আন্দোলনকারীদের যেন কোনভাবেই গায়ের জোরে কিছু করা না হয়। আপাতত এই দুর্বিষহ পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায়, সেদিকে নজর রাখবে দেশের রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!