এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিলাসবহুল আবাসনের চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু কুখ্যাত দুস্কৃতির, নাম জোরালো তৃণমূল নেতা নেত্রীর

বিলাসবহুল আবাসনের চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু কুখ্যাত দুস্কৃতির, নাম জোরালো তৃণমূল নেতা নেত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তর কলকাতার পাইকপাড়ার এক বিলাসবহুল আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হল এক দুষ্কৃতীর। গতকাল রবিবার ভোর বেলা তার প্রচণ্ড চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙলো আবাসিকদের। তারা খবর দিলেন পুলিশে। পুলিশ এসে যখন সেই রক্তাক্ত দুষ্কৃতীকে নিয়ে যায় হাসপাতালে। তখন সে আর বেঁচে ছিল না। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

উত্তর কলকাতার পাইকপাড়ার এক বিলাসবহুল আবাসন হলো কেভেন্টারে। জানা গেছে যে, যে ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে এই ঘটনা ঘটেছে, সেই ফ্লাটটি মালদা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পায়েল খাতুনের নামে কেনা হয়েছিল। সূত্রের খবর গত শনিবার রাতে ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পায়েল খাতুনের স্বামী মহম্মদ ইয়াসিন। এই ফ্ল্যাটর ছাদ থেকে গতকাল ভোর বেলা ঝাঁপ দেয় হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতী সেন্টিয়া। পুলিশ যখন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল, ততক্ষনে সে মৃত। তৃণমূল নেত্রীর ফ্ল্যাট থেকে এই কুখ্যাত দুষ্কৃতীর মৃত্যু ঘটায় তুলকালাম পড়ে গেছে শহরের প্রশাসনে।

চাঁপদানি এলাকায় তোলাবাজি দিয়ে সেন্টিয়া শুরু হয়েছিল তার অপরাধ জগতে বিচরণ। হুব্বা শ্যামলের শাগরেদ হিসাবে অপরাধ জগতে নাম লিখিয়েছিল সে। হুব্বা শ্যামলের মৃত্যুর পর, মূলত তার হাতে চলে যায় অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ। অভিযোগ উঠছে, শাসকদল তৃণমূলের আশ্রয়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজকর্ম চালাতো সে। কিন্তু, তার সঙ্গে পায়েল খাতুনের স্বামী মহম্মদ ইয়াসিনের কি সম্পর্ক সে বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

এদিকে, মালদা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পায়েল খাতুনের সঙ্গে দ্য ওয়ালের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানালেন যে, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। সেই সঙ্গে তিনি জানালেন যে, এখন শিলিগুড়িতে আছেন তিনি। তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হয়, তাঁর স্বামীর কলকাতায় থাকার ব্যাপারে তিনি কি বলতে চান? এর উত্তরে তিনি বলেছিলেন যে, তাঁর স্বামী কলকাতায় নেই, তিনি আছেন আজমের শরিফে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় যে, তাঁর ফ্ল্যাটে কি করে সেন্টিয়া গেল? তার জবাবে তিনি বলেছেন যে, সেন্টিয়া বলে কাউকে তিনি চেনেন না। এরপর যখন তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তার স্বামী যখন মালদা থেকে কলকাতা আসছিলেন স্করপিও গাড়ি করে, তখন হুগলির সুগন্ধা মোড় থেকে ওই গাড়িতে উঠেছিল সেন্টিয়া। এর উত্তরে তিনি জানালেন, ” এর বেশি আমি কিছু জানি না, কিছু বলতে পারব না আর।”

কিন্তু জানা যাচ্ছে, ঘটনার রাতে দুই মহিলা ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন। এসকর্ট সার্ভিসের দুজন লোক এসেছিলেন ওই ফ্ল্যাটে। সঙ্গে একজন পুলিশ কর্মীও ছিলেন। ওই পুলিশ কর্মী জখম হয়েছিলেন মারামারিতে। নিরাপত্তাকর্মীরা চারতলার ফ্লাট থেকে গন্ডগোলের শব্দ শুনতে পান। নিরাপত্তাকর্মীরা পৌঁছানোর আগেই ওই ফ্ল্যাট থেকে মত্ত অবস্থায় তিনজন যুবককে বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। মদের নেশার ঘোরে তারা মারামারি করছিল তারা। একজন আরেকজনের দিকে এগিয়ে আসছিল ভাঙা বোতল নিয়ে।

এদিকে আবাসনের রেজিস্টার অনুযায়ী গত ১৬ ই অক্টোবর রাতে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ইয়াসিন। পুলিশ বিমানবন্দর থেকে জানতে পেরেছে যে, গত শনিবার রাত ৯:৪০ মিনিটে বিমানে জয়পুর রওনা দেন তিনি। তার গাড়ির চালক ও ফ্লাট দেখাশোনার এক কর্মীকে, দুষ্কৃতী সেন্টিয়াকে ফ্লাটে রেখে যান তিনি। সমস্ত ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ প্রশাসন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!