এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ফিরছেন কি গুরুং? গোর্খাল্যান্ডের দাবি পূরণে পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দলকে একজোট হওয়ার ডাক দিলেন

ফিরছেন কি গুরুং? গোর্খাল্যান্ডের দাবি পূরণে পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দলকে একজোট হওয়ার ডাক দিলেন

দীর্ঘদিন যাবত রাজনৈতিক ভাবে নিস্ক্রিয় থাকার পরে আবারও পুরোনো মেজাজে বিমল গুরুং। গোর্খাল্যান্ডের দাবি পূরণে পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দলকে একজোট হয়ে আন্দোলনের আহ্বান জানালেন তিনি। এদিন একটি অডিও বার্তায় পাহাড়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল GNLF, জন আন্দোলন পার্টি, CPRM, কংগ্রেস-সহ প্রতিটি দলকেই জোট গঠনের জন্যে আমন্ত্রন জানান গুরুং। তাঁর প্রশ্ন, বরোল্যান্ড নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার মতো পরিস্থিতি তৈরী হলে গোর্খ্যাল্যান্ড নিয়ে ভাবনা চিন্তা হবে না কেন? তাই সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে গুরুংয়ের অনুরোধ, সম্মিলিতভাবে অরাজনৈতিক মঞ্চ গড়ে পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন হোক। তবে সমস্ত রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত ভাবে আন্দোলনের জন্য গুরুংয়ের এই আমন্ত্রনকে ঘিরে তৈরী হয়েছে অন্য জল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে, কেন বিমল গুরুং এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন?

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রসঙ্গতঃ এর আগেও আন্দোলন চলাকালীন একবার মঞ্চ গঠনের চেষ্টা হয়েছিলো। সেই মঞ্চকে একেবারেই গুরুত্ব দেননি খোদ বিমল গুরুং স্বয়ং। তাই স্বাভাবিক প্রশ্ন ,তাহলে হঠাৎ এখন কেন? রাজনৈতিক মহলের মতে, অন্তরালে থেকে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখতেই গুরুং অডিও বার্তা দিয়ে অরাজনৈতিক মঞ্চ গঠনের আহ্বাণ জানিয়েছেন। তবে বিমল গুরুংযের এই আহ্বাণে সচেতনভাবেই নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি। সেইরকমই GNLF-র সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র ছেত্রী নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বললেন, “গুরুংয়ের সমর্থনে পাহাড়ে বিজেপি’র সাংসদ রয়েছে। সেই সাংসদ মধ্যস্থতা করলেই কেন্দ্র বৈঠক ডাকতে পারে। তখন আলোচনা হতেই পারে। কিন্তু আপাতত মঞ্চ গড়ার প্রয়োজন কতটা তা আমরা খতিয়ে দেখব।” অন্যদিকে জন আন্দোলন পার্টির নেতা হরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, “হঠাৎ করে গুরুং মঞ্চ চাইছেন। আমরা পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন করছি। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতিতে মঞ্চ গড়ে আন্দোলন নিয়ে ভাবনা-চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে।” অবশ্য বিমল গুরুংযের আহ্বাণ বিষয়ে এখনও বিজেপি বা অন্যান্য ছোট রাজনৈতিক দলগুলি এখনও অবধি কোনো মন্তব্য করেনি। যদিও বিনয় তামাং শিবিরের এক নেতার বক্তব্য, পায়ের তলার মাটি সরে যাওয়ার কারণেই এখন বিমল গুরুং অন্য দলগুলির ঘাড়ে মাথা রেখে পাহাড়ে ফিরতে চাইছেন। সেই কারণেই এমন আহ্বাণ বলে মনে করেন ঐ নেতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!