বিনামূল্যে করোনার টিকা প্রদান ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রশংসার পাশাপাশি একইসাথে শোনা গেল বিরোধীদের কটাক্ষ জাতীয় বিশেষ খবর June 8, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে রীতিমতো নাজেহাল হয়ে পড়েছিলো কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিষেধক সংক্রান্ত অভিযোগ বেড়ে চলছিল ক্রমাগত। বিভিন্ন রাজ্য আলাদা করে প্রতিষেধক কেনার ব্যাপারে নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছিল। এই সময় আজকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশব্যাপী জনগণের সামনে এসে ঘোষণা করলেন, আগামী 21 শে জুন থেকে দেশজুড়ে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে 18 বছরের ঊর্ধ্বে সমস্ত নাগরিককে। প্রসঙ্গত, বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরেই দেশজুড়ে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার আবেদন জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে সোমবার সেই কথাই জানালেন নরেন্দ্র মোদি। যথারীতি বিরোধীরা ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছে, দীর্ঘদিন পরে হলেও শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁদের কথাই মেনে নিলেন। পাশাপাশি বলা হয়েছে, মোট উৎপাদিত ভ্যাকসিনের 75% কিনে নিয়ে রাজ্যগুলির মধ্যে তা বিতরণ করা হবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে যেমন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে যেরকম স্বাগত জানিয়েছেন, ঠিক সেরকমই বিরোধী শিবিরের মুখপাত্ররাও প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও করে চলেছেন কটাক্ষ। মোদির এই ঘোষণা নিয়ে কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি এস সিং দেও ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত আরো আগেই নেওয়া উচিত ছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে দেরিতে হলেও এই সিদ্ধান্তকে বিরোধী হিসাবে তাঁরা স্বাগত জানাচ্ছেন। অন্যদিকে একই কথা শোনা গেছে, কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা জয়রাম রমেশের গলাতেও। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন অবশ্য মোদির এই সিদ্ধান্তকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় স্বাগত জানিয়েছেন। অন্যদিকে দিল্লির আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সাথে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন আবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও আসল সমস্যা কিন্তু রয়েই গেলো। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি সমস্ত রাজ্যকে চাহিদা অনুযায়ী টিকা পাওয়ার কথা বলতেন, তাহলে সমস্যা অনেকটাই মিটে যেত। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী টুইট করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে চাপ দেওয়ার ফলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত মনে করা হচ্ছে, এই মুহূর্তে দেশবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিনামূল্যে প্রতিষেধক দেওয়ার ঘোষণা করে সমালোচনাকারীদের মুখ বন্ধ করলেন। বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, করোনাকে ঠেকানোর অন্যতম উপায় হল 100% প্রতিষেধক প্রদান। আর এবার বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার ঘোষণা করোনাকে ঠেকানোর অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠতে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। রাজনৈতিক কারণ এর পেছনে যাই থাক না কেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। আপনার মতামত জানান -