এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিধানসভা নির্বাচন থেকে উপনির্বাচন, কি কারণে বারবার ব্যাকফুটে যাচ্ছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন দিলীপ

বিধানসভা নির্বাচন থেকে উপনির্বাচন, কি কারণে বারবার ব্যাকফুটে যাচ্ছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন দিলীপ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি বিজেপি, এরপর উপনির্বাচনে ঘটেছে শোচনীয় পরাজয়। সেইসঙ্গে চলছে দলের ক্রমাগত ভাঙ্গন। একের পর এক নেতা-নেত্রী দল ছেড়ে দিচ্ছেন। গতকাল বিজেপি ছেড়ে দিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। যাকে ঘিরে যথেষ্ট রকম কাটাছেড়া চলছে। কেন এমন অবস্থায় এসে দাঁড়ালো রাজ্য বিজেপি? এবার এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বিজেপির এই অবস্থার কারণ হিসেবে অনেকেই দায়ী করেছেন দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব তথা গোষ্ঠী কোন্দলকে। অভিযোগ উঠেছে, দলের পুরোনো নেতাদের ব্রাত্য করে দিয়ে নবাগতদের অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। যার ফলে ফাটল ধরেছে দলের ঐক্যে। এবার এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি জানালেন, নির্বাচনের পর থেকেই দলের কর্মীদের মনে ক্ষোভ-বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যা ফল হয়েছে, যেভাবে লোক নেয়া হয়েছে, এ বিষয়ে আগেও অনেকে বলেছেন, পরেও বলেছেন, কিন্তু ধীরে ধীরে সকলে বুঝতে পারছেন যে, দলে যদি থাকতে হয়, তবে দলের নিয়ম মেনেই সকলকে চলতে হবে। কিছু যদি বলার থাকে তবে দলের মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় সেটা বলতে হবে।

প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার পুরভোট নিয়ে বিজেপির এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বসেছিল। সেখানে হাওড়ার একটি জোনের দায়িত্ব দেয়া হয় হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র তথা প্রাক্তন তৃণমূল নেতা রথীন চক্রবর্তীকে। নির্বাচনের আগে যিনি বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তাঁকে জোনের দায়িত্ব দেয়া হয়। আর হাওড়া সদর জেলার প্রাক্তন সভাপতি সুরজিৎ সাহাকে করা হয়েছিল সহ-আহ্বায়ক। দলের এই সিদ্ধান্ততে তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তিনি জানান, নারদ কাণ্ডের ভিডিওতে শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, হাওড়া জেলার বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের বি-টিমের অধীনে থেকে কাজ করবেন না। তিনি জানান, রথীন চক্রবর্তী যখন হাওড়া পুরসভার মেয়র ছিলেন, সে সময় প্রচুর আর্থিক দুর্নীতিতে তিনি যুক্ত ছিলেন। বিজেপিতে এসেও তিনি দুর্নীতি করেছেন।

অন্যদিকে সুরজিৎ সাহার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন রথীন চক্রবর্তী। তিনি জানান, আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে সুরজিৎ সাহার বিরুদ্ধে। এগুলি দেখে তার ব্যবস্থা নেবে দল। আবার, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সুরজিৎ সাহার কটাক্ষ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, অসন্তোষ দলের অনেকের বিরুদ্ধেই আছে। তাঁর বিরুদ্ধেও তা থাকতে পারে।

অর্থাৎ, রাজ্য বিজেপির মধ্যে যে অন্তদ্বন্দ্ব রয়েছে, গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে, তা কার্যত মেনে নিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর দলের এই অন্তর্দ্বন্দ্ব, অসন্তোষ দলের সংগঠনকে যে ক্রমশ দুর্বল করে দিচ্ছে, সে কথাও বলছেন অনেকেই। আর যার ফলেই নির্বাচনে আশানুরূপ ফল লাভ থেকে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!