প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গরু এবং কয়লা পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রকে নিয়ে অনেকদিন ধরেই শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজ্যে। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এই বিনয় মিশ্রের কথা তুলে ধরে বারবার তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন সেই বিনয় মিশ্র। তবে তিনি যাতে দেশে ফিরতে পারেন, কিন্তু তাকে যাতে গ্রেফতার করা না হয়, তার জন্য আদালতে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে তার আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে।

আর এই পরিস্থিতিতে বিনয় মিশ্রকে নিয়ে যখন ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে, ঠিক তখনই বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যেখানে একটি ডায়েরি পাওয়া গিয়েছে বলে জানানো হল সিবিআইয়ের তরফ থেকে। আর সেই ডায়েরি নিয়েই এবার রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সিবিআইয়ের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই ডায়েরিতে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তদন্ত যদি চলতে থাকে, তাহলে অনেক রাঘব-বোয়ালের বিড়ম্বনা বৃদ্ধি পেতে পারে বলেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে একাংশের মধ্যে।

এদিন এই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের এএসজি অমন লেখি বলেন, “এটি একটা বৃহৎ ষড়যন্ত্র। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ইমানুল বিএসএফ কমান্ড্যাট মনোজ সানাকে টাকা পাঠাতেন। সেখান থেকে তার অন্যতম সহযোগী সতীশের মাধ্যমে বিনয় মি্শরের কাছে টাকা যেত। অপরাধীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেন বিনয়। পুলিশ, প্রশাসন সবটাই তাদের হাতের মুঠোয় ছিল। তদন্তে সিবিআই মনোজের ডায়েরি পেয়েছে। সেখানে হুমায়ুন কবিরের নাম উঠে এসেছে। পাশাপাশি তার নিজের ভাই বাবলা সানারও নাম রয়েছে।”

স্বাভাবিক ভাবেই সিবিআইয়ের অন্যতম কর্তার এই মন্তব্য থেকেই রীতিমতো আশঙ্কা তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক স্তরে। তাহলে কি এই ঘটনার সঙ্গে বিএসএফ সহ পুলিশ প্রশাসন এবং বড় বড় কর্তারাও জড়িত? ডায়েরি প্রকাশ্যে আসার পর প্রশাসনের শীর্ষস্তরের অস্বস্তি আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা‌। অনেকে বলছেন, থেকে বিনয় মিশ্রকে নিয়ে এতদিন বিরোধীদের পক্ষ থেকে রাজ্যের শাসক শিবির তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করা হয়েছে।

আর এবার ডায়েরিতে যে সমস্ত তথ্য রয়েছে, তা কি পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে শাসক শিবিরের অনেক হেভিওয়েটদের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেবে, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে। স্বাভাবিকভাবেই বিনয় মিশ্রের ঘটনা নিয়ে এখন ক্রমশ চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে হেভিওয়েটদের মধ্যে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।