এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > টিকাকরনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার চুড়ান্ত আতঙ্কের মধ্যেই ভরসার বাণী শোনালো ভারত বায়োটেক।

টিকাকরনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার চুড়ান্ত আতঙ্কের মধ্যেই ভরসার বাণী শোনালো ভারত বায়োটেক।


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কাল থেকে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া। সেখানে কো-উইন অ্যাপে সমস্যা হওয়া ছাড়া বাকি রাজ্যে টিকা প্রদানের প্রক্রিয়া আপাতভাবে ঠিক ছিল বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে সেইসঙ্গে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কাকে সত্যি করে ১৪ জনের অসুস্থতার খবর পাওয়া গেছে। যদিও এ ক্ষেত্রে টিকা নেওয়ার ফলেই তাঁরা অসুস্থ হয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতর তরফে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।

আর যেখানে ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে থেকেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে ভয় ছিল, সেখানে এই খবর যে মানুষের ভয় আরো বাড়িয়ে দিয়েছে সেটা বলাই বাহুল্য। তবে আপনি যদি ভাবেন যে ভ্যাকসিন নেওয়ার ঝুঁকি না নেওয়াই উচিত, তবে সেখানে জানা গেছে, যদি এটা প্রমাণিত হয় যে ভ্যাকসিন নিয়ে আপনি অসুস্থ হয়েছেন, তবে সেই দায়ভার গ্রহণ করবে স্বয়ং ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানি। কিন্তু কিভাবে? বস্তুত, ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্কের মাঝেই জানা গেছে যাদের কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া হবে তাঁদের একটি ‘স্ক্রিনিং অ্যান্ড কনসেন্ট ফর্ম’-এ সই করতে হবে।

এর ফলে কোনও ব্যক্তির কোভ্যাক্সিন নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের। সেইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানান হয়েছে। তবে কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া? যেহেতু, ভারতে এখনও কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল শেষ হয়নি, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে তাই এহেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করেই জরুরি ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রিতভাবে এই টিকা প্রদানের অনুমতি দিয়েছিল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই। যদিও এই ঘোষণার পর রীতিমত বিতর্ক শুরু হয়েছিল। তবে সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দেশের মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত বায়োটেক। তবে কি বলা হয়েছে সেই ফর্মে?

জানা গেছে, জরুরি ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রিতভাবে অনুমোদন পেয়েছে ভারত বায়োটেকের করোনাভাইরাস টিকা। কোভ্যাক্সিনের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি গড়ে তোলার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে যেহেতু এখনও পর্যন্ত কোভ্যাক্সিন ক্লিনিকাল কার্যকারিতার চূড়ান্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে, তাই টিকা নেওয়ার পরও করোনা সতর্কতা মেনে চলতে হবে।

সেইসঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে যেকোন ব্যক্তিকে সরকার নির্ধারিত হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার সঙ্গে সঙ্গে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে ভারত বায়োটেক। যদিও সেই ক্ষতিপূরণের অঙ্কটা পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তীকালে নির্ধারণ করা হবে বলেই জানান হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!