এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > চরম বিপাকে অর্ণব গোস্বামী? পড়তে চলেছেন আরও বড় আইনি বিপাকে? উড়তে চলেছে ঘুম? জানুন বিস্তারে

চরম বিপাকে অর্ণব গোস্বামী? পড়তে চলেছেন আরও বড় আইনি বিপাকে? উড়তে চলেছে ঘুম? জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আবারও বড় সমস্যায় পড়তে চলেছেন সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামী। জানা গেছে, বছর দুয়েক আগে রিপাবলিক টিভির সম্পাদক অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করা এবং আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ উঠেছিল। বস্তুত, ২০১৮ সালে মুম্বইয়ের এক ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং তাঁর মায়ের আত্মহত্যা করার কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিল বলে জানা গেছে।

এরপর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, বস্তুত তাঁদের সুইসাইড নোটে নাকি অর্ণব গোস্বামী ৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা শোধ না করায় তারা আর্থিক অনটনে পড়ে এবং সেকারণেই তারা আত্মহত্যা করছে বলে দাবি করা হয়েছিল। যার ভিত্তিতেই ওই ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের ছেলে অর্ণবের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপি এবং আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বলে জানা গেছে। তবে গতবছর প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ এই মামলাটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও, সম্প্রতি নতুন সরকার আসার পর তা আবার চালু করা হয় বলেই জানা যায়।

আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার করার পর তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। যদিও পুলিশ তাঁকে নিজেদের হেপাজতে চেয়েছিল, কিন্তু আলিবাগ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সুনয়না পিঙ্গলে সেইসময় জানান, রায়গড় পুলিশ কেন অর্ণবকে পুলিশ হেফাজতে চাইছে পুলিশ তার সঠিক কারণ দেখাতে পারেনি। সেইসঙ্গে অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারিকেও বেআইনি বলেই মনে করছেন বলে জানান তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর মতে, ২০১৮ সালে আর্কিটেক্ট ও তাঁর মায়ের আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে অর্ণব গোস্বামীর জড়িত থাকার স্বপক্ষে কোনও শক্তপোক্ত প্রমাণ এখনও দেখানো হয়নি। তাই নতুন কোনও তথ্যপ্রমাণ ছাড়া ঠিক কী কারণে দুবছর পরে এই মামলায় পুলিশ ফের সক্রিয় হল, তাও স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে, রায়গড় পুলিশ আদালতে জানায়, ২০১৮ সালে দায়ের হওয়া এই এফআইআর-এর ভিত্তিতে তারা অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করেছে এবং তদন্ত এগোনোর জন্য অর্ণবকে তাদের জেরা করা দরকার। সে জন্যই পুলিশ তাকে হেফাজতে চেয়েছিল।

অন্যদিকে, অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর আদালতে জানান, ২০১৮ সালে যে এফআইআর দায়ের করা হয়, তা তথ্যপ্রমাণের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আত্মঘাতী অন্বয় নায়েকের স্ত্রী অক্ষতা নায়েক ও মেয়ে আদন্যা নায়েক আরও একটি অভিযোগ দায়ের করলে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। আর তাতেই অর্ণব গোস্বামী ও আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এখনই যে তিনি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না, সেটাই পরিষ্কার হয়ে গেল। কারণ শুক্রবার বম্বে হাইকোর্টে করা তাঁর অন্তর্বর্তী মুক্তির মামলার শুনানি স্থগিত হয়ে গেছে বলেই জানা গেছে।

বস্তুত, আদালতের বিচারপতির ছুটিতে যাওয়ায় এই দেরি হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার অর্ণব গোস্বামীর আইনজীবীদের বক্তব্য শোনে আদালত। কিন্তু সময় না থাকায় অন্য পক্ষদের বক্তব্য শোনা হয়নি। আর আজ সেটাই শোনা হবে বলে জানা গেছে। জানা গিয়েছে, আজ বিচারপতি এস এস শিণ্ডে ও বিচারপতি এম এস কার্ণিকের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। আজ রাজ্য সরকার ও অন্বয় নায়েকের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনবেন তাঁরা।

বস্তুত, শুক্রবার অর্ণব গোস্বামীর আইনজীবীরা বিচারপতিদের সামনে বারবার আবেদন করেন যাতে অর্ণবকে অন্তর্বর্তী মুক্তি দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অর্ণব রায়গড়ে জিলা পরিষদের স্কুলে রয়েছেন। গ্রেফতার করার পরে সেখানে সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে বলেই জানা গেছে। হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী মুক্তি কিংবা সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরেই তিনি একমাত্র জেলের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারবেন বলে জানা গেছে। তাই আজ দুপুরে বিশেষ বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার কো শুনানি করেন, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!