বিপাকে মিঠুন চক্রবর্তী, মহাগুরুর বক্তব্য নিয়ে পুলিশের রিপোর্ট চাইল শিয়ালদহ কোর্ট কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য May 23, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রুপোলি পর্দার নায়ক মিঠুন চক্রবর্তী কার্যত এবার বড়োসড়ো বিপাকে পড়লেন। এবার তিনি জড়ালেন আইনি মামলায়। একুশের বিধানসভার নির্বাচনে মিঠুন চক্রবর্তী গেরুয়া শিবিরের অন্যতম তারকা মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের ভোট প্রচারেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ব্রিগেডের মঞ্চে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্মুখে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিলেন এবং ওই মঞ্চ থেকেই জনতার আবদারে একের পর এক ফিল্মি ডায়লগ দিয়ে সভা মাত করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ফিল্মি ডায়লগই মিঠুন চক্রবর্তীর জন্য বিপদ ডেকে আনলো বলে মনে করা হচ্ছে। একুশের ভোটের প্রচারে বেরিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে গরম গরম ফিল্মি ডায়লগ দিয়েছেন এবং সেগুলি যে যথেষ্ট উত্তেজক তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। মানিকতলায় একটি সভায় তিনি যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন তাই নিয়েই জনৈক ব্যক্তি শিয়ালদা এসিজেএম আদালতে একটি মামলা করেছেন। আর সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার কলকাতা পুলিশের কাছে শিয়ালদা এসিজেএম আদালতে রিপোর্ট তলব করেছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী 1 লা জুন পরবর্তী শুনানি হবে এই মামলার। প্রসঙ্গত মিঠুন চক্রবর্তী কি এমন বলেছিলেন, যে কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করতে হলো? সূত্রের খবর, মিঠুন চক্রবর্তী মানিকতলার সভায় দাঁড়িয়ে এমএলএ ফাটাকেষ্টর সংলাপ বলেছিলেন, যেখানে লাশ ফেলে দেওয়ার কথা উঠে আসে। যথারীতি তাঁর এই ডায়লগ উস্কানিমূলক বলেই বিবেচিত হয়েছে। এছাড়াও মানিকতলার মঞ্চে দাঁড়িয়ে শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। এমনিতেই ভোটের প্রচারে বেরিয়েও তিনি করোনা বিধি না মানার জন্য স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন মালদার জেলাশাসক তথা জেলার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপর বীরভূমেও প্রচারে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীকে মঞ্চে দেখা যায়নি। বরং তিনি ব্যারিকেডের বাইরে থেকেই বিদায় নিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে বর্তমানে মিঠুন চক্রবর্তীকে কিন্তু তাঁর ডায়লগের জন্যই বড় বিপদে পড়তে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত জানা গেছে, এই মামলা নিয়ে এখনো পর্যন্ত মিঠুন চক্রবর্তীর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিজেপির এক মুখপাত্রের মতে, পুরোটাই রাজনৈতিকভাবে বিব্রত করার অন্যতম কৌশল। তবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই পুরোটা সামাল দেওয়া হবে। অন্যদিকে গতকাল অর্জুন সিং এর বিরুদ্ধেও সিআইডির পক্ষ থেকে নোটিশ জারি করা হয়েছে। এবং আজকে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে শিয়ালদা কোর্ট। এদিকে তৃণমূল শিবিরের চার নেতা মন্ত্রীকে নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, আজকের রায়ে তাঁরা গৃহবন্দী হলেন। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমূল নেতাদের ধরপাকড়ের কারণেই কি বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে? আপনার মতামত জানান -