এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শঙ্কুর হাত ধরে বিসিপিতে যোগ দিয়েই বিপ্লবের বোমা: আমাকে বা সৌমিত্রদাকে CBI ডাকে না তো!

শঙ্কুর হাত ধরে বিসিপিতে যোগ দিয়েই বিপ্লবের বোমা: আমাকে বা সৌমিত্রদাকে CBI ডাকে না তো!


লোকসভা নির্বাচনে তুমুল সাফল্যের পর বাংলায় দিকে দিকে সংগঠন বাড়াতে মনযোগী হয় গেরুয়া শিবির। সেই সূত্রে সংগঠন বিস্তার করার লক্ষ্যে টালিগঞ্জ পাড়াকেও বেছে নেয় তারা। রন্তিদেব সেনগুপ্তকে মাথার উপর রেখে শঙ্কুদেব পণ্ডা ও বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীর হাত ধরে ডানা মেলে বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ বা বিসিপি। তবে আত্মপ্রকাশের পরেই কিছুটা বিতর্ক শুরু হয় বিসিপিকে নিয়ে। কেননা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অগ্নিমিত্রা পালকে সামনে রেখে পাল্টা একটি সংগঠনের কথা জানান।

কিন্তু, পরবর্তীকালে সঙ্ঘের আশীর্বাদের হাত থাকে রন্তিদেব-শঙ্কুর বিসিপির উপরেই। একে একে বিসিপির অ্যাডভাইসরি কমিটিতে নাম থাকতে শুরু করে মুকুল রায়, স্বপ্ন দাসগুপ্তের মত হেভিওয়েট নেতা ও সাংসদদের। তবে এবার বিসিপির আত্মপ্রকাশের পর, বোধহয় সবথেকে বড় চমকটা দিল সংগঠনটি। সূত্রের খবর, আজ শঙ্কুদেব পণ্ডার সঙ্গে ঘন্টা দেড়েক রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর বিসিপির সঙ্গে অ্যাক্টিভভাবে থাকার কথা সরকারিভাবে জানিয়ে দেন টলিউডের অন্যতম সিনিয়র মোস্ট অভিনেতা ও চিরকাল বামপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাস রাখা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বিপ্লববাবু শঙ্কুদেবের সঙ্গে বৈঠকের পরেই, সংগঠনের কর্মসূচি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে যারপরনাই সন্তুষ্ট। সবথেকে বড় কথা টলিপাড়ায় যে সিন্ডিকেটরাজ ভাঙতে আসরে নেমেছেন রন্তিদেব-শঙ্কুদেবরা – তার সঙ্গেও তিনি সহমত পোষন করেছেন। আর বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদে যোগদানের খবরে রীতিমত শোরগোল পরে গেছে টলিপাড়ায়। কেননা, তিনি বিজেপির একেবারে উল্টোমেরুতে থাকা বাম রাজনীতিতে বিশ্বাস রাখেন বলেই সবাই জানে।

তৃণমূলের জামানায় যখন টলিউডের কলা-কুশলীদের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকাটা যখন ‘ম্যান্ডেট’ হয়ে গেছে প্রায়, তখনও বিপ্লববাবু নিজের জায়গা থেকে এক ইঞ্চিও সরেননি। সেই তিনিই এবার বিজেপি প্রভাবিত বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদে এলেন, শুধু তাই নয় এই সংগঠনের অন্যতম মুখ্য পরামর্শদাতা হিসাবে অ্যাডভাইসরি কমিটিতে থাকতেও তিনি অঙ্গীকার বদ্ধ হয়েছেন। সংশ্লিষ্ঠ মহলের ধারণা, শঙ্কুদেবের এই ‘মুভের’ পর টলিপাড়ায় বিসিপিকে আটকানো এবার কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ল। কেননা বিপ্লববাবুর যোগদানের পর, টলিপাড়ার বামঘেঁষা একটা বড় অংশ এবার বিসিপিতে আসা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।

অন্যদিকে, বিসিপিতে যোগদানের পরেই কার্যত বোমা ফাটিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। এদিন তাঁকে রোজভ্যালি কাণ্ডে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই জেরার প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, সিবিআই তো আমাকে বা সৌমিত্রদাকে (অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়) ডাকে না! কেন? আর বুম্বাকেই (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) ডাকে কেন? নিশ্চয় কোনো কারণ আছে? তাহলে কি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের আর্টিস্ট ফোরামের পদাধিকারী হিসাবে পদত্যাগ করা উচিত? জবাবে বর্ষীয়ান অভিনেতা বিপ্লববাবু জানান, আমি তো বুম্বার গার্ডেন নোই বা আমার কথা শুনে ও চলেও না! এই ব্যাপারে ও যা ভালো বুঝবে করবে, আমি বলার কেউ নোই!

বর্ষীয়ান অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদে যোগদানের সরকারি চুক্তি।
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!