এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উধাও? বিজেপি ফেরত হেভিওয়েট নেতা ‘ফাঁস’ করে দিলেন বিরোধীদের চক্রান্ত?

তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উধাও? বিজেপি ফেরত হেভিওয়েট নেতা ‘ফাঁস’ করে দিলেন বিরোধীদের চক্রান্ত?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সভাপতি থেকে সরিয়ে দেন বিপ্লব মিত্রকে। আর এরপরই বিপ্লববাবু যোগদান করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তবে বেশিদিন বিজেপিতে ঘর করতে পারেননি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার এই হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন আগে তৃণমূল ভবনে গিয়ে আবার ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান সেই বিপ্লব মিত্র।

তবে নিজের প্রাক্তন দলে আবার নতুন করে বিপ্লববাবু যুক্ত হলেও, তাকে দলের কোনো কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না বলে ঘনিষ্ঠমহলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন। আর এর পরেই শিলিগুড়িতে এসে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নেতৃত্বকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, দলের কর্মসূচিতে বিপ্লব মিত্রকে সংযুক্ত করতে হবে। আর এরপর থেকেই জেলা নেতৃত্ব সমস্ত জায়গায় কর্মী সমাবেশে বিপ্লব মিত্রকে আমন্ত্রণ জানাতে শুরু করেন।

তবে দলের সঙ্গে নতুন করে বিপ্লববাবু যুক্ত হলেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়ছে বলে দাবি করেছিলেন একাংশ। কিন্তু এবার বালুরঘাটের কর্মীসভায় উপস্থিত সমালোচকদের সেই দাবি উড়িয়ে দিলেন জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্র। সূত্রের খবর, এদিন বালুরঘাটের হাইস্কুল মাঠের পাশে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শংকর চক্রবর্তী, জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস, বিপ্লব মিত্র সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে উঠে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলেন বিপ্লব মিত্র। পাশাপাশি বিরোধীরা কুৎসা ছড়িয়ে দিচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। বিপ্লববাবু বলেন, “বিরোধীরা তৃণমূলের নামে কুৎসা রটাচ্ছে। ভোট আসছে। এখন বহু কিছু রটানো হচ্ছে। সেইসব কানে দেবেন না। রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পর বালুরঘাট শহর তথা জেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল কতটা উন্নত হয়েছে, তা জেলাবাসী দেখতে পাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জেলাবাসীর গলায় উন্নয়নের মালা পড়িয়ে দিয়েছেন।”

অর্থাৎ তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে বলে জল্পনা তৈরি হলেও, তার সবটাই যে বিরোধীদের কুৎসা, তা নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন বিপ্লব মিত্র বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এক সময় এই বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে যাওয়ার পর বিজেপি নেতা কর্মীরা অনেকটাই উজ্জীবিত হতে শুরু করেছিলেন। বিপ্লব বাবুকে দিয়ে তৃণমূলের ঘর ভাঙানো যাবে বলে মনে করেছিলেন তারা।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে সক্রিয় হননি। ঘরে বসে যান তিনি। আর এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। কিন্তু বিপ্লব মিত্র তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেও শাসক দলের ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে বলে দাবি করতে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের সেই কথাকে কার্যত খারিজ করে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বালুরঘাটের সভায় বক্তব্য রাখলেন বিপ্লব মিত্র।

যার ফলে একাংশ মনে করছেন যে, সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে জয়ের লক্ষ্যে এখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, বরঞ্চ উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করতে শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। বালুরঘাটের সভা থেকে অন্তত তারই আভাস পাওয়া গেল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!