এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিপ্লবকে নিয়ে নেতাদের বড়সড় নির্দেশ দিলেন অভিষেক ও পিকে, মানবেন কি নেতার ? বাড়ছে জল্পনা !

বিপ্লবকে নিয়ে নেতাদের বড়সড় নির্দেশ দিলেন অভিষেক ও পিকে, মানবেন কি নেতার ? বাড়ছে জল্পনা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস পরাজিত হওয়ার পরেই জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিপ্লব মিত্রকে। আর এর পরেই বিপ্লব মিত্র সদলবলে যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। কিন্তু দীর্ঘদিন বিজেপিতে থাকলেও, সেভাবে কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে দেখা যায়নি তাকে। পরবর্তীতে আবার বিজেপি ত্যাগ করে কিছুদিন আগে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন সেই বিপ্লব মিত্র। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সর্বেসর্বা ছিলেন তিনি। কিন্তু সেই বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আবার যোগদানের পর তাকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে তার অনুগামীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল।

এককালে যিনি তৃনমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সংগঠন সামলাতেন, সেখানে তাকে কেন এইভাবে গুরুত্বহীন করে রাখা হচ্ছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। কিন্তু এবার শিলিগুড়িতে দলীয় বৈঠকে সেই বিপ্লব মিত্রকে যাতে দলের সমস্ত কর্মসূচিতে ডাকা হয়, তার জন্য নির্দেশ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর। অর্থাৎ আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিপ্লব মিত্রকে যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সংগঠনের ক্ষেত্রে বড়সড় গুরুত্ব দিতে চলেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব, তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের এই নির্দেশ থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে নিয়ে একটি সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি গৌতম দাস, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শংকর চক্রবর্তী, বিপ্লব মিত্র এবং মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। আর সেখানেই বিপ্লব মিত্রকে যাতে সমস্ত কর্মসূচিতে ডাকা হয়, তার জন্য নির্দেশ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এখন থেকে প্রতিটি কর্মসূচিতে বিপ্লব মিত্রকে ডাকতে হবে। তাকে সব কর্মসূচিতে শামিল করুন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বভাবতই শীর্ষ স্তর থেকে যখন জেলা নেতাদের উদ্দেশ্যে এই বার্তা দেওয়া হচ্ছে, তখন বিপ্লব মিত্রকে সাংগঠনিক কাজে এবং জেলার সংগঠনকে চাঙ্গা করতে যে তৃণমূল কংগ্রেস কাজে লাগাতে চলেছে, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা বিপ্লব মিত্র বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পর নানা কর্মসূচি হলেও তাকে সেখানে ডাকা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। যার ফলে তৈরি হয়েছিল দ্বন্দ্ব। তাই এই পরিস্থিতিতে যাতে সেই রকম কোনো ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সকল জেলা নেতাদের বিপ্লব মিত্রকে সাথে নিয়েই কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হল।

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “বিপ্লব মিত্র উনিশ-কুড়ি বছর ধরে তৃণমূল করেছেন। তার গুরুত্ব অনেক। তাকে সব কর্মসূচিতে ডাকতে বলা হয়েছে। এদিকে এই ব্যাপারে মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা বলেন, “একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব কর্মসূচিতে বিপ্লব মিত্রকে ডাকতে বলা হয়েছে।” তবে জেলার সমস্ত কর্মসূচিতে বিপ্লব মিত্রকে ডাকার কথা শীর্ষ স্তরের নেতারা বলে গেলেও, তিনি কোন পদে থেকে এই কর্মসূচিতে সামিল হবেন, তা এখনও কারো অজানা নয়। কেননা এখনও বিপ্লব মিত্র তৃণমূলে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই। স্বাভাবিকভাবেই তাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও সংগঠনকে চাঙ্গা করতে এখন বিপ্লব মিত্রকে বড়সড় কোনো জায়গা দেওয়া হতে পারে বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!