এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিপুল সাফল্য পাইয়ে দিলেও গুরুত্ব কমছে জ্যোতিপ্রিয়র, জল্পনা তুঙ্গে!

বিপুল সাফল্য পাইয়ে দিলেও গুরুত্ব কমছে জ্যোতিপ্রিয়র, জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্দিনের সঙ্গী হিসেবেই পরিচিত তিনি। 2011 সালের মন্ত্রিসভা হোক বা 2016 সালের মন্ত্রিসভা, গুরুত্বপূর্ণ জায়গা লাভ করেছেন উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উত্তর 24 পরগনার মত বিশাল জেলাকে সাংগঠনিক দিক থেকে এই জ্যোতিপ্রিয়বাবুর চোখ দিয়ে দেখতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই জেলার সাংগঠনিক কোথায় কি দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে, তার সমস্ত কিছু ঠিক করে দিতেন তিনি। কিন্তু 2021 সালে তৃতীয় তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ধীরে ধীরে গুরুত্ব কমতে শুরু করেছে সেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী থাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের তৃতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বন দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে খাদ্য দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তর 24 পরগনা জেলার আর এক বিধায়ক রথীন ঘোষকে। যার জেরে দলীয় সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাপটের সঙ্গে বিজেপি প্রভাবিত এই জেলা থেকে বিপুল আসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দিলেও, কেন তাকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর দেওয়া হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

অনেকে বলছেন, দলীয় মতভেদ প্রকাশ্যে না আসলেও, এই উত্তর 24 পরগনা জেলার বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সঙ্গে খুব একটা বনিবনা নেই সেখানকার সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। বর্তমানে তৃতীয় তৃণমূল সরকার আসার পর অনেকটাই প্রভাব বেড়েছে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের। তার অনুগামী হিসেবে পরিচিত মধ্যমগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক রথীন ঘোষকে এবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের খাদ্য দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর খাদ্য-দপ্তর থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে দেওয়া হয়েছে বন-দপ্তরের দায়িত্ব। অন্যদিকে সম্প্রতি তৃণমূলে সাংগঠনিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজ্যের মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী হবেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। স্বাভাবিক ভাবেই যে উত্তর 24 পরগনা জেলায় এতদিন শেষ কথা বলতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, এখন সেখানে যে তার সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিতে কাকলি ঘোষ দস্তিদার অবতীর্ণ হলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই সমস্ত সমীকরণের উপর নির্ভর করেই এই জেলায় দায়িত্ব সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়ার জন্য ধারে ও ভারে অনেকটাই বাদ পড়লেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যারা মন্ত্রী হবেন, তারা সভাপতির দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। সেদিক থেকে ভবিষ্যতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ডানা ছাটা যেতে পারে। উত্তর 24 পরগনার সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে তাকে। অথবা মন্ত্রী পদ চলে যেতে পারে তার। কেননা তৃণমূল ইতিমধ্যেই “এক পদ, এক ব্যক্তি” নিয়ম চালু করেছে। আর এই সমস্ত সম্ভাবনার উপর নির্ভর করে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এর ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে তার অনুগামীদের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!