বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও বিধানসভাতে দমবন্ধ তৃণমূলের? বিজেপি নেতার হুঁশিয়ারিতে বাড়ছে জল্পনা! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য June 6, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বহু চেষ্টা করেও রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। তৃতীয়বারের জন্য 213 টি আসন নিয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় আসীন হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে 77 টি আসন পেয়ে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে 200 আসনের টার্গেট নিয়ে নির্বাচনী ময়দানে নামা ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে কর্মীরা, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা দখল করছে বলে আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফলাফলে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, বাংলার মানুষ আবার ভরসা রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর। আর এই পরিস্থিতিতে ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই 77 টি আসন দখল করে বিজেপি কিভাবে তৃণমূলকে চাপে ফেলবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এমনকি ফলাফলে ভরাডুবির হওয়ার কারণে গেরুয়া শিবিরের অনেক নেতা নেত্রী বেসুরো হতে শুরু করেছে। যার ফলে অনেকে দলবদল করতে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই সমস্ত আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে বিধানসভার ভেতরে তৃণমূলের দমবন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, আজ বাঁকুড়ায় একটি চা চক্রে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে রীতিমত হুঁশিয়ারি ছেড়ে দেন তিনি। মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, “আমরা 77 টি আসন পেয়েছি। 38 শতাংশ ভোট পেয়েছি। বিধানসভার ভেতরে তৃণমূলের দমবন্ধ করে দেব। বাইরেও প্রতিবাদ হবে। সারা রাজ্যজুড়ে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই হামলার ঘটনা ঘটে আসছে। সব জায়গায় প্রতিবাদ করবে বিজেপি।” অর্থাৎ বিরোধীদল হিসেবে তারা যে প্রতিমুহূর্তে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, তা দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল। পাশাপাশি বিধানসভার অলিন্দে তৃণমূলের দমবন্ধ করা নিয়ে যে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।অনেকে বলছেন, দিলীপ ঘোষ এই কথা বলে দলের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করলেন। কেননা ভোটে বিপর্যয়ের পর দলের অনেকেই হতাশ হতে শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে অনেক নেতা-কর্মী আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে দলের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত রাখতে বিজেপি বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা পালন করবে এবং তৃণমূলের অস্বস্তি যে সব সময় বাড়িয়ে দেবে, তা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি কতটা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে এবং সত্যি সত্যিই তৃণমূলের অস্বস্তি বৃদ্ধি পায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -