এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘সন্ত্রস্ত’ বীরভূম দিয়ে শুরু, আজ থেকেই আরও এত জেলা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দখলে

‘সন্ত্রস্ত’ বীরভূম দিয়ে শুরু, আজ থেকেই আরও এত জেলা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দখলে

লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশিত হওয়ার দিন দুয়েকের মধ্যেই রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের ডালি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দোরগোড়ায় হাজির হল বিজেপি। রাজ্যের প্রতিটি বুথকে অতি স্পর্শকাতর দাবী করে স্বচ্ছ এবং অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে প্রতিটি বুথেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী আরো কড়া করার আবেদন জানান বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার।

আগামী শনিবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত একাধিক বৈঠক করতে রাজ্যে আসছেন তিনি,এমনটাই জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে। এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় রাস্তায় টহলদারী চালাতে গতরাতেই বীরভূমের রাস্তায় নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আজ,শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দু’কোম্পানি এবং উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকা টহল দিচ্ছে।

তবে কোন বাহিনী কোথায় কখন টহল দেবে তা ঠিক করে দেবে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপাররা। তবে বুথ পাহারার জন্যে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে তাদের মোতায়েন করবেন পর্যবেক্ষকরা। তবে সেই সংখ্যা যে কত তা ভোটের সাতদিন আগেই জানা যাবে। পর্যাপ্ত পরিমান কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে বলেই জানা গিয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে,ভোটের সর্বশেষ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যের সব জেলাশাসক,পুলিশ সুপার,পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। এছাড়া কোচবিহার,আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকদের বাদ দিয়ে সব জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন দিল্লি থেকে আসা একটি বিশেষ টিম। জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ছাড়াও সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই বৈঠক করবেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। বৈঠক হবে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের সঙ্গেও।

নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় কর্তাদের পশ্চিমবঙ্গে আসার আগেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যপুলিশ। নাকা চেকিংয়ের সঙ্গে কোলকাতা এবং রাজ্য পুলিশ টহলদারি শুরু করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন হাইওয়ের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অস্ত্রের সঙ্গে উদ্ধার করা হচ্ছে বিস্ফোরকও। এই উদ্ধারকার্য চালিয়ে সরকারি জায়গা থেকে ৩২,২০৩ টি ফ্লেক্স খোলা হয়েছে। আর বকেয়া কাজগুলো ডেপুটি কমিশনার শহরে আসার আগেই খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিন পর্যন্ত সি-ভিলেজ অ্যাপে যে ৩৫১ টি অভিযোগ জমা পড়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই হল সরকারি হোডিং নিয়। তাই তড়িঘড়ি করে এগুলো খুলে ফেলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এসবের মধ্যে শোরগোল ফেলে সম্প্রতি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন জঙ্গলমহলের নেতা ছত্রধর মাহাতো। আগামী ১০ দিনের জন্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাকে।

মুক্তি পাওয়ার পর ছত্রধর মাহাতো কী করছেন তার উপরও নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার। তিনি কোনো মডেল কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙছেন কিনা সেটা যেমন খতিয়ে দেখবে কমিশন তেমনি প্রতি মুহূর্তে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার রিপোর্টও তলব করছে তাঁরা। ভোট সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত রাজ্যের উপর এরকমই কড়া নজর থাকবে নির্বাচন কমিশনের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!