এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > মুর্শিদাবাদের ছায়া পড়েছে বীরভূমে! আতঙ্কের নয়া ঠিকানা খুঁজে পেয়ে আবারও ধন্দে রাজ্য।

মুর্শিদাবাদের ছায়া পড়েছে বীরভূমে! আতঙ্কের নয়া ঠিকানা খুঁজে পেয়ে আবারও ধন্দে রাজ্য।


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদে জঙ্গি সংগঠন গড়ে ওঠা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। সেই সঙ্গে পুজোর আগে রাজ্যে জঙ্গি হানা নিয়েও উঠতে দেখা গিয়েছিল নানা প্রশ্ন। তবে সেই আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই আবারও উঠে এল বাংলায় জঙ্গি প্রসঙ্গ। শান্তিনিকেতন থানা এলাকার তালতোড় গ্রামের এক বাড়ি থেকে অস্ত্র-সহ গ্র মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তার মধ্যে চারজনই বাংলাদেশি। বীরভূম জেলা পুলিশ যে এই গ্রেপ্তারিরর পর ফের বড়সড় জঙ্গিঘাঁটির সন্ধান পেতে চলেছে সেই অনুমানই করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই তালতোড়ের ওই গ্রামে দিলীপ ঘোষ নামে একজনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল ওই ৪ জন বাংলাদেশি। দিলীপ ঘোষ নিজে এলাকায় থাকেন না, বাইরে থাকেন। তাই বাড়িটি ভাড়া দিয়ছিলেন তিনি। তবে এরা কারা, কী কারণে শান্তিনিকেতন এলাকায় বাড়িভাড়া নিচ্ছে, তা কেউই জানতেন না। তবে এদের সঙ্গে সম্প্রতি স্থানীয় দুই যুবকের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় বলে জানা যায়। মুর্শিদাবাদ থেকে আল কায়দা যোগে এতজন যুবকের গ্রেপ্তারির পরই আশেপাশের জেলাগুলিতে সতর্কবার্তা বেড়েছিল। মানুষের মধ্যে এই সচেতনতা তৈরি হওয়াটা যে কতটা প্রয়োজন ছিল, সেটা এখন বোঝা যাচ্ছে। সেইসঙ্গে এলাকার নিরাপত্তায় বীরভূম, নদিয়ার পুলিশ আরও গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানা গেছে। বিশেষত বীরভূমে আগেও খাগড়াগড় বিস্ফোরণের অন্যতম মূল চক্রীদের অনুসন্ধান পাওয়া গিয়েছিল বলে জেলা পুলিশ নতুন করে খোঁজখবর নিতে শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, তিন দিন আগে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন থানা এলাকায় অভিযান চালায় জেলা পুলিশ। তালতোড় গ্রাম থেকে প্রান্তিক যাওয়ার পথে একটি সন্দেহজনক বাড়ি শনিবার রাতেই পুলিশের বিশাল বাহিনী ঘিরে ফেলেছিল। এরপর সেখান থেকেই পুলিশের জালে হাতে ধরা পড়ে ৬ জন, যাদের মধ্যে ৪ জনই বাংলাদেশি। এছাড়াও বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, নাইন এমএম পিস্তল, বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ অভিযান চালানোর পর বুঝতে পারে, ২ যুবককে সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র, বোমা তৈরির কাজ করছিল ওই ৪ বাংলাদেশি যুবক।

তাই গ্রেফতারির পর আদালতে পেশ করে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই ৬ জনকে জেরা করতে চায় বলেই জানিয়েছে। কারণ, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ এবং বছর সাতেক আগে খাগড়াগড়ের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই জেলায় জঙ্গিঘাঁটিগুলো ফের সক্রিয় হওয়ার আগেই তা শেষ করে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েছে পুলিশ প্রশাসনের। সেইসঙ্গে কী তাদের পরিকল্পনা ছিল, বা কত বড় নাশকতারই বা ছক তৈরি হচ্ছিল সেখানে সেবিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!