এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > গোহত্যাকে কেন্দ্র করে তীব্র অশান্তি বীরভূম-ঝাড়খন্ড সীমান্তে, রণক্ষেত্র এলাকা

গোহত্যাকে কেন্দ্র করে তীব্র অশান্তি বীরভূম-ঝাড়খন্ড সীমান্তে, রণক্ষেত্র এলাকা

বকরি ইদে গোহত্যা নিষিদ্ধ জানিয়ে নয়া নিষেধাজ্ঞা জারি করলো ঝাড়খণ্ড সরকার। কিন্তু অদৃষ্টের এমনই লিখন যে সেই গোহ্ত্যাকে কেন্দ্র করেই পুলিশ- জনতা সংঘর্ষে উত্তাল ঝাড়খণ্ডের পাকুড়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ইদের কুবরবানিতে বাধা দেওয়ার কারণে স্থানীয় থানায় উত্তেজিত জনতা আক্রমন করে। গুলি-বোমা চলে বলেও জানা যাচ্ছে। এদিনের সংঘর্ষে বিক্ষুদ্ধ মানুষজন এবং পুলিশ কর্মী মিলিয়ে মোট ৪০ জন মানুষ গুরুতর জখম হয়েছে্ন বলে জানা যাচ্ছে।

ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ হাসপাতাল ও রামপুরহাট হাসপাতালে এই সকল গুরুতর জখম মানুষজনকে চিকিৎসার প্রয়োজনে ভর্তি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত কোরবানি ইদের দিন সকালে ঝাড়খণ্ডের পাকুরের ডাঙাপাড়ায় ঐদিনের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে গোহত্যা হচ্ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঐদিন গো-হত্যার ক্ষেত্রে আগাম নিষেধাজ্ঞা জানানো হয়েছিলো। তাই  খবর পেয়েই মহেশপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, যাঁরা কুরবানি দিচ্ছিলেন পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এমনকী, বাঁধা গরুগুলিকে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। এই সময় গ্রামবাসীরা পালটা পালটা প্রতিরোধে চেষ্টা করে ঠিকই কিন্তু তা সফল হয়নি। এদিকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পুলিশি হস্তক্ষেপে গ্রামবাসীরা অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠেন। রীতিমতো মাইক বাজিয়ে তাঁরা বকরি ইদে পুলিশি হস্তক্ষেপের কথা গ্রামের অন্য সকলকে অবগত করে। এইভাবেই পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষজন জমায়েত হন। এরপরেই সকলে জোটবদ্ধ হয়ে মহেশপুর থানায় আক্রমন চালায় বলে জানা গিয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রব্লেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অভিযোগ উঠেছে পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়। এইসময়ে পরিস্থিতি এতোটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে পুলিশ গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে পালটা গুলি চালায়। এই সংঘর্ষের কারণেই উভয় পক্ষের মোট ৪০ জন মানুষ জখম হন। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শী আবিদ শেখ বললেন, “সকাল থেকেই ধর্মীয় রীতি মেনে পশু উৎসর্গের কাজ চলছিল। কিন্তু পুলিশ তাতে বাধা দেয়। গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিরোধ গড়ে তুললে গণ্ডগোল শুরু হয়। থানায় গিয়ে বাধা দেওয়ার কারণ জানতে চান গ্রামবাসীরা। পুলিশ গুলি চালায়।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!