এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বীরভূমের দুই আসনেই মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পেরেছেন, জয় নিয়ে আশায় তৃণমূল-বিজেপি-বাম সকলেই

বীরভূমের দুই আসনেই মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পেরেছেন, জয় নিয়ে আশায় তৃণমূল-বিজেপি-বাম সকলেই

নির্বাচনের দামামা বাজবার অনেক আগে থেকেই বীরভূমকে সন্ত্রাস কবলিত জেলা বলে দাবি করে সেখানে ভোটের দিন যাতে প্রতি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যায় এবং সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করা যায় তার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছিলো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আর বিরোধীদের সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়েই গত 29 এপ্রিল সম্পন্ন হয়েছে বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন।

বস্তুত, এই বীরভূমে নির্বাচনে অব্যবস্থার পেছনে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হতে দেখা গেছে বিরোধীদের। আর সেইমতো কমিশনের পক্ষ থেকে সেই অনুব্রত মণ্ডলের উপর ভোটের দিন বাড়তি নজরদারি এবং তার ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে সেই বীরভূম জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর শাসক থেকে বিরোধী প্রায় প্রত্যেকেই স্বীকার করে নিয়েছেন, এবারের নির্বাচন অত্যন্ত ভালোভাবেই হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত 2009 সালের পর 2014 সালেও এই বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই জয়লাভ করেছে তৃণমূল। কিন্তু যতবারই ভোট হয়েছে, সে পঞ্চায়েত হোক বা পুরসভা, বিধানসভা হোক বা লোকসভা – প্রায় প্রতিবারই জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। কিন্তু এবার সেই সন্ত্রাসের অভিযোগ না উঠায় যদি শাসক দলের দাবি অনুযায়ী এই দুটি কেন্দ্রেই তৃণমূল জয় লাভ করে, তাহলে বিরোধীদের অতীতের অভিযোগ যেমন ধাক্কা খাবে, ঠিক তেমনি জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের শক্তিশালী সংগঠনের কথাও স্বীকার করে নিতে হবে সকলকে বলে দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের।

অন্যদিকে যদি এই জেলার দুই কেন্দ্রেই শাসকদলের ফল খারাপ হয়, তাহলে অনুব্রত মণ্ডল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কম কটাক্ষ করতে ছাড়বে না বিরোধীরা। কিন্তু কি হবে এখানকার বীরভূম ও বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে? এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, “আমরা বীরভূমে তিনলক্ষ, বোলপুরে চার লক্ষ ভোটে জিতব।”

অন্যদিকে দুটি কেন্দ্রেই তারা জয়লাভ করবেন বলে জানান বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়। এদিকে এই প্রসঙ্গে জেলা সিপিএমের সম্পাদক মনসা হাঁসদা বলেন, “তৃনমূল ও বিজেপি একই। ভোটের দিন 50 টি বুথে ছাপ্পা হয়েছে। তবে আমরা পুনঃনির্বাচনের দাবি জানাইনি। মানুষ বিকল্প হিসেবে আমাদেরকেই সমর্থন করবেন।” সব মিলিয়ে সুষ্ঠ এবং অবাধ ভোট হলেও শেষপর্যন্ত এই বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে কি হয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!